তীব্র অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশকে ক্রোধ বলে। ক্রোধ মনুষ্য চরিত্রের এক অস্বাভাবিক অবস্থা যা সুনির্দিষ্ট কারণে হয়ে থাকে। মানবচরিত্রের একটি খারাপ দিক ক্রোধ। কারো ক্রোধ যখন মাত্রা ছাড়িয়ে যায় তখন সেটা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ক্রোধের কারণে মনের মধ্যে প্রতিশোধের আগুন জ্বলে ওঠে। তখন মানুষ খুন খারাবি পর্যন্ত করে বসতে পারে। তাই ক্রোধ নিবারণ অপরিহাযর্, নচেৎ জীবনের সমূহ বিপর্যয় অনিবার্য। ক্রোধ বা রাগ জীবনের একটি বড় অনুষঙ্গ। কেউ অল্পতে রেগে যায়, কেউ সহজে রাগই করে না। মনের মধ্যে জমিয়ে রাখা অবদমিত ক্রোধ আমাদের ভালো থাকার পেছনের শত্রু। এটি মানুষের সঙ্গে মানুষের সৌহার্দ্য ও সুসম্পর্ক নষ্ট করে। ক্রোধ আসলে একটি সাধারণ সুস্থ আবেগ। তবে অনিয়মিত ও অনিয়ন্ত্রিত ক্রোধ ক্ষতিকারক যা প্রায়ই দৈনন্দিন সাংসারিক সম্পর্ক ও জীবনের স্বাভাবিক গুণগতমান নষ্টসহ বিভিন্ন ধরণের সমস্যা সৃষ্টি করে। ক্রোধ এমন ধরণের আবেগ যা বিরক্তিবোধ থেকে গভীর আক্রোশ ও উম্নোক্ত উত্তেজনা পর্যন্ত বিস্তৃত। কিছু লোক সত্যিকার অর্থে ক্ষেপাটে প্রকৃতির। তারা সহজেই সামান্য কারণে প্রচন্ড উত্তেজিত হয়ে পড়ে। হতাশা, বিড়াম্বনা ও বিরক্তি সহজেই তাদের বিচলিত করে; কোনো কিছুই তারা সহজভাবে নিতে পারে না। তখন ক্রোধ হয়ে ওঠে তার জীবনের বোঝা স্বরূপ। এই ক্রোধ মানুষের স্বভাবজাত। স্বভাব থেকে তা দূর করা সম্ভব নয়। কিন্তু নিজে ক্রোধের বশবর্তী না হয়ে ক্রোধকে নিজের বশে আনতে পারলেই তার কুফল থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই মনীষীরা বলেন- ‘প্রকৃত বীরপুরুষ ঐ ব্যক্তি নয়, যে প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করে ফেলে বরং প্রকৃত বীরপুরুষ ঐ ব্যক্তি যে ক্রোধের মুহূর্তে নিজেকে সংযত রাখতে পারে।’

শিক্ষা: ক্রোধের মুহূর্তে মানুষ হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে এবং অনেক সময় এমন কাজ করে যা তার জন্য বিশেষ গ্লানি বয়ে আনে। তাই ক্রোধের মুহূর্তে নিজেকে সংযত রাখার চেষ্টা করতে হয়।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
dg

Call

তীব্র অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশকে ক্রোধ বলে। ক্রোধ মনুষ্য চরিত্রের এক অস্বাভাবিক অবস্থা যা সুনির্দিষ্ট কারণে হয়ে থাকে। মানবচরিত্রের একটি খারাপ দিক ক্রোধ। কারো ক্রোধ যখন মাত্রা ছাড়িয়ে যায় তখন সেটা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ক্রোধের কারণে মনের মধ্যে প্রতিশোধের আগুন জ্বলে ওঠে। তখন মানুষ খুন খারাবি পর্যন্ত করে বসতে পারে। তাই ক্রোধ নিবারণ অপরিহাযর্, নচেৎ জীবনের সমূহ বিপর্যয় অনিবার্য। ক্রোধ বা রাগ জীবনের একটি বড় অনুষঙ্গ। কেউ অল্পতে রেগে যায়, কেউ সহজে রাগই করে না। মনের মধ্যে জমিয়ে রাখা অবদমিত ক্রোধ আমাদের ভালো থাকার পেছনের শত্রু। এটি মানুষের সঙ্গে মানুষের সৌহার্দ্য ও সুসম্পর্ক নষ্ট করে। ক্রোধ আসলে একটি সাধারণ সুস্থ আবেগ। তবে অনিয়মিত ও অনিয়ন্ত্রিত ক্রোধ ক্ষতিকারক যা প্রায়ই দৈনন্দিন সাংসারিক সম্পর্ক ও জীবনের স্বাভাবিক গুণগতমান নষ্টসহ বিভিন্ন ধরণের সমস্যা সৃষ্টি করে। ক্রোধ এমন ধরণের আবেগ যা বিরক্তিবোধ থেকে গভীর আক্রোশ ও উম্নোক্ত উত্তেজনা পর্যন্ত বিস্তৃত। কিছু লোক সত্যিকার অর্থে ক্ষেপাটে প্রকৃতির। তারা সহজেই সামান্য কারণে প্রচন্ড উত্তেজিত হয়ে পড়ে। হতাশা, বিড়াম্বনা ও বিরক্তি সহজেই তাদের বিচলিত করে; কোনো কিছুই তারা সহজভাবে নিতে পারে না। তখন ক্রোধ হয়ে ওঠে তার জীবনের বোঝা স্বরূপ। এই ক্রোধ মানুষের স্বভাবজাত। স্বভাব থেকে তা দূর করা সম্ভব নয়। কিন্তু নিজে ক্রোধের বশবর্তী না হয়ে ক্রোধকে নিজের বশে আনতে পারলেই তার কুফল থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই মনীষীরা বলেন- ‘প্রকৃত বীরপুরুষ ঐ ব্যক্তি নয়, যে প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করে ফেলে বরং প্রকৃত বীরপুরুষ ঐ ব্যক্তি যে ক্রোধের মুহূর্তে নিজেকে সংযত রাখতে পারে।’

শিক্ষা: ক্রোধের মুহূর্তে মানুষ হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে এবং অনেক সময় এমন কাজ করে যা তার জন্য বিশেষ গ্লানি বয়ে আনে। তাই ক্রোধের মুহূর্তে নিজেকে সংযত রাখার চেষ্টা করতে হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ