শ্বসন প্রক্রিয়ায় জটিল খাদ্যবস্তু (জৈব যৌগ) বিশ্লিষ্ট হয়ে সরল উপাদানে (অজৈব যৌগ) পরিণত হয় । এতে কোষের শুষ্ক ওজন হ্রাস পায় ও শক্তির মুক্তি ঘটে , তাই শ্বসনকে অপচিতিমূলক বিপাক (Catabolic Metabolism) বলে ।
যে গঠনমূলক বিপাক ক্রিয়ায় সরল অজৈব যৌগ থেক জটিল যৌগ সৃষ্টি হয়ে কোষের শুষ্ক ওজন বৃদ্ধি পায় ও শক্তির স্থিতি ঘটে তাকে উপচিতি বিপাক বলে । যেমন সালোকসংশ্লেষ ।
সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদদেহে সরল অজৈব যৌগ জল (H2O) ও কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2) -এর রাসায়নিক বিক্রিয়ায় শর্করা জাতীয় জটিল জৈব (C6H12O6) খাদ্য উৎপন্ন হয়, ফলে প্রোটোপ্লাজমের বৃদ্ধি অর্থাৎ শুষ্ক ওজন...
সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় জল জারিত হয়ে অক্সিজেন (O2) উৎপন্ন করে এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড বিজারিত হয়ে কার্বোহাইড্রেট উৎপন্ন করে বলে সালোকসংশ্লেষকে জারণ-বিজারণ প্রক্রিয়া বলে ।
জীবের বেঁচে থাকার জন্য শক্তির প্রয়োজন । শ্বসন প্রক্রিয়ার ফলেই খাদ্যস্থ শক্তির মুক্তি ঘটে যা জীবের বিভিন্ন জৈবনিক কাজে ব্যয়িত হয় । তাই শ্বসন অপচিতিমূলক বিপাক প্রক্রিয়া হলেও জীবের...
শ্বসনে কোষস্থ খাদ্য (শ্বসন বস্তু) -এ আবদ্ধ স্থৈতিক শক্তির কিছু অংশ উচ্চ শক্তিধর জৈব যৌগ ATP -এর মধ্যে রাসায়নিক শক্তিরূপে সঞ্চিত হয় (প্রায় 40%) যা জীবদেহের জৈবিক ক্রিয়ায় সাহায্য করে...
দহনকালে জৈব বা অজৈব বস্তুর কার্বন পরমাণুর যোজকগুলি একই সঙ্গে ভেঙ্গে গিয়ে দ্রুত প্রচুর পরিমাণে তাপ ও আলোকশক্তি উৎপন্ন করে । কিন্তু শ্বসনকালে গ্লুকোজ অণুর কার্বন পরমাণুর যোজকগুলি ধাপে ধাপে...