যথাসময়ে কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার চিকিৎসা না হলে শ্রবণশক্তি হ্রাস পেতে পারে। এ ছাড়া মধ্যকর্ণে ঘন ঘন ইনফেকশন হয়ে স্থায়ীভাবে শ্রবণশক্তি বিলোপ হতে পারে। এ ছাড়া মধ্যকর্ণে সিস্ট (কোলেস্টিটোমা) হতে পারে। চিকিৎসা: কানে কোনোভাবেই যেন পানি প্রবেশ না করে এ জন্য গোসলের সময় কানে তুলা বা ইয়ার প্লাগ ব্যবহার করা * সাঁতার না কাটা * উড়োজাহাজে ভ্রমণ এড়িয়ে চলা * উচ্চ শব্দে গান না শোনা, হেড ফোন ব্যবহার না করা * কানে যাতে কোনো ইনফেকশন না হয়, এ জন্য কানো কোনো অসুবিধা হওয়ামাত্র ডাক্তার দেখিয়ে উপযুক্ত অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করা * কান না খোঁচানো * নিজে নিজে কোনো ওষুধ দেওয়া থেকে বিরত থাকা * কানে কোনো কিছু গেলে বা আটকে থাকলে নিজে তা বের করার চেষ্টা না করা। কানের পর্দার ছিদ্র যদি ছোট হয় বা অল্প একটু ফেটে যায়, তাহলে কয়েক সপ্তাহ পর আপনা আপনি তা ঠিক হয়ে যায়। অনেক সময় কানে ইনফেকশন সন্দেহ করা হলে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হয়, কানে অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ দিতে হয়। যদি তিন মাসের মধ্যেও ক্ষতিগ্রস্ত পর্দা ঠিক না হয়, সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনে অপারেশনের মাধ্যমে কানের পর্দা ঠিক করা যায়। এ ধরনের অপারেশনের মধ্যে আছে মাইরিংগোপ্লাস্টি। এটি কানের পর্দা জোড়া লাগানোর আধুনিক মাইক্রোস্কোপিক অপারেশন, যা আগে দেশে খুব বেশি হতো না। এখন সরকারি ও বিভিন্ন বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এ অপারেশন অনেক হচ্ছে।