Botany 2nd part bs c (pass) . Tissue
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Unknown

Call

ফেলেম, ফেলোজেন এবং ফেলোডার্ম- এ তিনটি টিস্যু মিলিতভাবে যে অংশ গঠন করে, তাকে পেরিডার্ম বলে। অন্য কথায় বলা যেতে পারে যে, বহিঃস্টিলীয় অঞ্চলে সেকেন্ডারি বৃদ্ধির মাধ্যমে যে টিস্যুর সৃষ্টি হয়, তাই পেরিডার্ম। পেরিডার্মের গঠন: অন্তঃস্টিলীয় অঞ্চলে সেকেন্ডারি বৃদ্ধির ফলে বহিঃস্টিলীয় অঞ্চলে উত্তরোত্তর চাপ বৃদ্ধি পায়। এ চাপ থেকে বহিঃস্তর ও ত্বককে রক্ষা বা প্রতিস্থাপনের জন্য বহিঃস্টিলীয় অঞ্চলের কিছু স্থায়ী টিস্যু বিভাজন ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে কর্ক ক্যাম্বিয়াম সৃষ্টি করে। কর্ক ক্যাম্বিয়াম ত্বক, অধঃত্বক, কর্টেক্স এমনকি পেরিসাইকল অঞ্চলেও সৃষ্টি হতে পারে। তবে অধিকাংশ উদ্ভিদেই অধঃত্বকে সৃষ্টি হয়ে থাকে। কর্ক ক্যাম্বিয়াম বা ফেলোজেন টিস্যুর কোষগুলো ট্যানজেনশিয়েলভাবে বিভক্ত হয়ে দুটি কোষের সৃষ্টি করে। দুটি কোষের একটি ক্যাম্বিয়াম কোষ হিসেবে থেকে যায় এবং অন্যটি স্থায়ী টিস্যুর সৃষ্টি করে। কর্ক ক্যাম্বিয়াম থেকে যে কোষগুলো পরিধির দিকে সৃষ্টি হয়, সেগুলো আয়তকার সারি করে অবস্থিত এবং এদের মধ্যে কোনো ফাঁক থাকে না। এদের কোষপ্রাচীরে সুবেরিন নামক রাসায়নিক পদার্থ থাকে। এসব কারণে এ কোষস্তর ভেদ করে পানি, গ্যাস প্রভৃতি আসা-যাওয়া করতে পারে না। কর্ক ক্যাম্বিয়ামের বাইরে অবস্থিত এবং পানি ও গ্যাস অভেদ্য। এ কোষস্তরকে কর্ক বা ফেলেম বলে। কর্ক ক্যাম্বিয়াম হতে যে কোষগুলো কেন্দ্রের দিকে সৃষ্টি হয়, সেগুলো গোলাকার প্যারেনকাইমা কোষ এবং এদের মধ্যে প্রচুর ফাঁক বা কোষাবকাশ থাকে। কর্ক ক্যাম্বিয়াম হতে কেন্দ্রের দিকে ফাঁক ফাঁকভাবে অবস্থিত প্যারেনকাইমা কোষের এই টিস্যুকে সেকেন্ডারি কর্টেক্স বা ফেলোডার্ম বলে। এই ফেলেম, ফেলোজেন ও ফেলোডার্ম সম্মিলিতভাবে পেরিডার্ম গঠন করে। বিস্তারিত: http://www.manobkantha.com/2013/12/11/150551.html

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ