গঠনমূলক একটি উত্তর আশা করছি।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Hasankic

Call

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পতাকা বিধিমালা ১। শিরোনাম এবং কার্যকর হইবার তারিখ।- (ক) এই বিধিমালা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পতাকা বিধিমালা, ১৯৭২ নামে পরিচিত হইবে। (খ) এই বিধিমালা অবিলম্বে কার্যকর হইবে। ২। সংজ্ঞা।- প্রসঙ্গের প্রয়োজনে ভিন্নরূপ কোন কিছু না থাকিলে, এই বিধিমালায়,- (১) ‘‘পতাকা’’ অর্থ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ‘জাতীয় পতাকা’। ৩। ‘পতাকা’র আয়তন এবং বর্ণনা।- ‘জাতীয় পতাকা’ গাঢ় সবুজ রঙের হইবে এবং ১০:৬ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের আয়তক্ষেত্রাকার সবুজ রঙের মাঝখানে একটি লাল বৃত্ত থাকিবে। লাল বৃত্তটি পতাকার দৈর্ঘ্যের এক-পঞ্চমাংশ ব্যাসার্ধ বিশিষ্ট হইবে। পতাকার দৈর্ঘ্যের নয়-বিংশতিতম অংশ হইতে অঙ্কিত উল্লম্ব রেখা এবং পতাকার প্রস্থের মধ্যবর্তী বিন্দু হইতে অঙ্কিত আনুভূমিক রেখার পরস্পর ছেদ বিন্দুতে বৃত্তের কেন্দ্র বিন্দু হইবে। (১) রং: (ক) পতাকার সবুজ পটভূমি হইবে প্রতি হাজারে প্রোসিয়ন ব্রিলিয়ান্ট গ্রীন এইচ-২ আর এস ৫০ পার্টস। (খ) লাল বৃত্তাকার অংশ হইবে প্রতি হাজারে প্রোসিয়ন ব্রিলিয়ান্ট অরেঞ্জ এইচ-২ আর এস ৬০ পার্টস। (২) ভবনে ব্যবহারের জন্য ‘পতাকা’র আয়তন: (ক) ১০'× ৬' (খ) ৫' × ৩' (গ) ২.৫' × ১.৫' ১ [সরকার ভবনের আয়তন অনুযায়ী এবং প্রয়োজনে দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ঠিক রাখিয়া বড় আয়তনের পতাকা প্রদর্শনের অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে] (৩) গাড়ীতে ব্যবহারের জন্য ‘পতাকা’র আয়তন: (ক) ১৫" × ৯"............... বড় গাড়ীর জন্য; (খ) ১০"× ৬" ................ ছোট এবং মাঝারি আকারের গাড়ীর জন্য। ১। নোট।- এস.আর. ও. ১৮৫-আইন/৮৯, তারিখ ১৩ জুন, ১৯৮৯ দ্বারা সংশোধিত। (৪) আন্তর্জাতিক এবং দ্বিপাক্ষিক কনফারেন্সের জন্য ‘টেবিল পতাকা’র আয়তন ১০"× ৬" । ব্যাখ্যাঃ (ক) পতাকার দৈর্ঘ্য ১০' হইলে প্রস্থ হইবে ৬' ; (খ) ‘পতাকা’র লাল বৃত্তের ব্যাসার্ধ হইবে ২' ; (গ) বামদিক হইতে ‘পতাকা’র দৈর্ঘ্যের ৪ হইতে একটি উল্লম্ব রেখা টানিতে হইবে এবং পতাকার প্রস্থের মধ্যভাগ হইতে একটি আনুভূমিক রেখা টানিতে হইবে; (ঘ) এই উভয় রেখার ছেদ বিন্দুটি হইবে লাল বৃত্তের কেন্দ্র। ৪। যে সকল উপলক্ষে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলিত হইবে।- (১) নিম্নবর্ণিত দিবস এবং উপলক্ষে বাংলাদেশের সর্বত্র সরকারী ও বেসরকারী ভবনসমূহে এবং বিদেশে অবস্থিত কূটনৈতিক মিশনের অফিস ও কনস্যুলার পোস্টসমূহে নিম্নরূপ পদ্ধতিতে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করিতে হইবে : (ক) মহানবীর জন্ম দিবস (ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী); (খ) ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস; (গ) ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস; (ঘ) সরকার কর্তৃক প্রজ্ঞাপিত অন্য যে কোন দিবস। ১[(২) নিম্নবর্ণিত দিবসসমূহে ‘পতাকা’ অর্ধনমিত থাকিবে: (ক) ২১শে ফেব্রুয়ারী শহীদ দিবস; (খ) ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস; এবং (গ) সরকার কর্তৃক প্রজ্ঞাপিত অন্য যে কোন দিবস।] ৫। যে সকল দেশে বাংলাদেশ মিশন অবস্থিত সেই সকল দেশের প্রথা অনুসারে, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ কূটনৈতিক মিশনসমূহ এবং কনস্যুলার পোস্টসমূহে পতাকা উত্তোলন করা হইবে। যে সকল দেশে প্রতিদিন পতাকা উত্তোলনের প্রথা নাই, সেই সকল দেশে যে যে দিবসে সাধারণত পতাকা উত্তোলন করা হয়, সেই সকল দিবসে এবং ৪নং বিধিতে উল্লিখিত নির্দিষ্ট দিবসসমূহে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হইবে। কিন্তু যে সকল দেশে প্রতিদিন পতাকা উত্তোলন করা হয়, সেই সকল দেশে একটি বিশেষ বড় পতাকা উত্তোলন করিতে হইবে। ৬। সরকারী ভবন, অফিসিয়াল বাসস্থান, মোটরযান প্রভৃতিতে ‘পতাকা’র ব্যবহার।- (১) গুরুত্বপূর্ণ সরকারী ভবন এবং অফিসসমূহ, যেমন-রাষ্ট্রপতির বাসভবন, সংসদ ভবন প্রভৃতি, সকল মন্ত্রণালয় এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সচিবালয় ভবনসমূহ, হাইকোর্টের অফিসসমূহ, জেলা ও দায়রা জজ আদালতসমূহ, বিভাগীয় কমিশনার, ডেপুটি কমিশনার/ কালেক্টর, চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের অফিসসমূহ, কেন্দ্রীয় এবং জেলা কারাগারসমূহ, পুলিশ স্টেশন, ২[শুল্ক পোস্টসমূহ, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং এইরূপ অন্যান্য ভবন] এবং সরকার কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত ভবনসমূহে সকল কর্মদিবসে ‘বাংলাদেশের পতাকা’ উত্তোলন করা হইবে। নোট:- ১। এস,আর,ও, ২৪৫-আইন/২০০৮-মপবি-৫/১/২০০৭-বিধি, তারিখ: ১১ আগস্ট ২০০৮ দ্বারা সংশোধিত। ২। নং মপবি-৫/১/৮৮-বিধি(অংশ-২)-২৮, তারিখ ২৮ ফের্রুয়ারী, ২০০১ দ্বারা সংশোধিত। ১[(২) নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিবর্গের অফিসিয়াল বাসভবনে ‘পতাকা’ উত্তোলন করা হইবে: (ক) রাষ্ট্রপতি; (খ) প্রধানমন্ত্রী; (গ) জাতীয় সংসদের স্পীকার; (ঘ) বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি; (ঙ) মন্ত্রীবর্গ; (চ) চীফ হুইপ; (ছ) জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার; (জ) জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা; (ঝ) মন্ত্রীর পদমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ; (ঞ) প্রতিমন্ত্রীবর্গ; (ট) প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ; (ঠ) উপমন্ত্রীবর্গ; (ড) উপমন্ত্রীর পদমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ; (ঢ) বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ কূটনৈতিক /কনস্যুলার /মিশনসমূহের প্রধানগণ; (ণ) রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান জেলার স্থানীয় সরকার পরিষদের চেয়ারম্যানগণ। (৩) রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী তাঁহাদের মোটরযান, জলযান এবং উড়োজাহাজে ‘বাংলাদেশের পতাকা’ উত্তোলন করিবার অধিকারী হইবেন। (৪) নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিবর্গ তাঁহাদের মোটর গাড়ী ও জলযানে ‘বাংলাদেশের পতাকা’ উত্তোলন করিবার অধিকারী হইবেন : (ক) জাতীয় সংসদের স্পীকার; (খ) বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি; (গ) মন্ত্রীবর্গ; (ঘ) চীফ হুইপ; (ঙ) জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার; (চ) জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা; (ছ) মন্ত্রীর পদমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ; (জ) বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ কূটনৈতিক/কনস্যুলার/ মিশনসমূহের প্রধানগণ। (৫) প্রতিমন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ, উপমন্ত্রী এবং উপমন্ত্রীর পদমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ রাজধানীর বাহিরে দেশের অভ্যন্তরে অথবা বিদেশে ভ্রমণকালীন সময়ে তাঁহাদের মোটরযান এবং জলযানে ‘বাংলাদেশের পতাকা’ উত্তোলনের অধিকারী হইবেন। নোট: কেবলমাত্র সংশ্লিষ্ট সম্মানিত ব্যক্তি মোটরযান বা জলযানে অবস্থানকালীন সময়ে ‘পতাকা’ উত্তোলন করা হইবে। নোট:- ১। নং মপবি-৫/১/৮৮-বিধি(অংশ-২)-২৮, তারিখ ২৮ ফের্রুয়ারী, ২০০১। ৭। ‘পতাকা’র সম্মান বজায় রাখা ।- (১) সর্বদা পতাকার প্রতি যথাযথ সম্মান ও মর্যাদা প্রদর্শন করিতে হইবে। (২) পতাকা দ্বারা মোটরযান, রেলগাড়ী অথবা নৌযানের খোল, সম্মুখভাগ অথবা পশ্চাদভাগ কোন অবস্থাতেই আচ্ছাদিত করা যাইবে না। (৩) যেক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের পতাকা অথবা রঙিন পতাকার সহিত ‘বাংলাদেশের পতাকা’ উত্তোলন করা হয়, সেইক্ষেত্রে বাংলাদেশের পতাকাকে সম্মান প্রদর্শনের জন্য স্থান সংরক্ষিত থাকিবে। (৪) যেক্ষেত্রে কেবলমাত্র দুইটি পতাকা অথবা রঙিন পতাকা উত্তোলন করা হয়, সেইক্ষেত্রে ‘বাংলাদেশের পতাকা’ ভবনের ডানদিকে উত্তোলন করা হইবে। (৫) যেক্ষেত্রে পতাকার সংখ্যা দুইয়ের অধিক হয়, সেইক্ষেত্রে অযুগ্ম সংখ্যক পতাকার ক্ষেত্রে ‘বাংলাদেশের পতাকা’ মধ্যখানে এবং যুগ্ম সংখ্যক পতাকার ক্ষেত্রে ‘বাংলাদেশের পতাকা’ মধ্যভাগের ডানদিকে উত্তোলন করা হইবে। (৬) যেক্ষেত্রে ‘বাংলাদেশের পতাকা’ অন্য পতাকার সহিত আড়াআড়িভাবে কোন দন্ডে দেয়ালের বিপরীতে উত্তোলন করা হয়, সেইক্ষেত্রে বাংলাদেশের পতাকা অন্য পতাকার ডানদিকে আড়াআড়িভাবে থাকিবে (আড়াআড়িভাবে যুক্ত পতাকা দুইটির দিকে মুখ করিয়া দন্ডায়মান ব্যক্তির বামদিকে) এবং পতাকা দন্ডটি অন্য পতাকা দন্ডের সম্মুখভাগে স্থাপিত হইবে। (৭) ‘বাংলাদেশের পতাকা’র উপরে অন্য কোন পতাকা বা রঙিন পতাকা উত্তোলন করা যাইবে না। (৮) ‘বাংলাদেশের পতাকা’ শোভাযাত্রার মধ্যভাগে বহন করা হইবে অথবা সৈন্য দলের অগ্রগমন পথে (Line of March) শোভাযাত্রার ডানদিকে বহন করা হইবে। (৯) মর্যাদার প্রতীক সম্বলিত ঢালে (escutcheons) অযুগ্ম সংখ্যক পতাকার ক্ষেত্রে ‘বাংলাদেশের পতাকা’ মধ্যভাগে এবং সর্বোচ্চ কেন্দ্রে থাকিবে এবং যুগ্ম সংখ্যক পতাকার ক্ষেত্রে ঢালের ডানদিকে শীর্ষে (ঢালের দিকে মুখ করিয়া দন্ডায়মান ব্যক্তির বামদিকে) বাংলাদেশের পতাকা স্থাপন করা হইবে। (১০) যেক্ষেত্রে অন্য কোন দেশের সহিত ‘বাংলাদেশের পতাকা’ একত্রে উত্তোলন করা হয়, সেইক্ষেত্রে ‘বাংলাদেশের পতাকা’ প্রথমে উত্তোলন করিতে হইবে এবং নামাইবার সময় সর্বশেষে নামাইতে হইবে। (১১) যেক্ষেত্রে দুই বা ততোধিক দেশের পতাকা প্রদর্শিত হয়, সেইক্ষেত্রে প্রতিটি পতাকা পৃথক পৃথক দন্ডে উত্তোলন করা হইবে এবং পতাকাসমূহ প্রায় সমান আয়তনের হইবে। (১২) যেক্ষেত্রে ‘বাংলাদেশের পতাকা’ অর্ধনমিত থাকে, সেইক্ষেত্রে প্রথমে সর্বোচ্চ চূড়া পর্যন্ত উত্তোলন করা হইবে এবং অতঃপর নামাইয়া অর্ধনমিত অবস্থায় আনা হইবে। ঐ দিবসে নামাইবার সময় পুনরায় উপরিভাগ পর্যন্ত উত্তোলন করা হইবে, অতঃপর নামাইতে হইবে। (১৩) যেক্ষেত্রে দন্ডের উপর ব্যতীত অন্যভাবে কোন দেয়ালের উপর ‘পতাকা’ প্রদর্শিত হয়, সেইক্ষেত্রে উহা দেয়ালের সমতলে প্রদর্শিত হইবে। কোন পাবলিক অডিটোরিয়াম বা সভায় ‘পতাকা’ প্রদর্শন করিতে হইলে উহা বক্তার পশ্চাতে উপরের দিকে প্রদর্শিত হইবে। যেক্ষেত্রে রাস্তার মধ্যখানে পতাকা প্রদর্শিত হয়, সেইক্ষেত্রে উহা খাড়াভাবে প্রদর্শিত হইবে। (১৪) কবরস্থানে ‘জাতীয় পতাকা’ নীচু করা যাইবে না বা ভূমি স্পর্শ করান যাইবে না। (১৫) ‘পতাকা’ কোন ব্যক্তি বা জড় বস্ত্তর দিকে নিম্নমুখী করা যাইবে না। (১৬) ‘পতাকা’ কখনই উহার নিচের কোন বস্ত্ত যেমন: মেঝে, পানি বা পণ্যদ্রব্য স্পর্শ করিবে না। (১৭) ‘পতাকা’ কখনই আনুভূমিকভাবে বা সমতলে বহন করা যাইবে না, সর্বদাই । ঊর্ধ্বে এবং মুক্তভাবে থাকিবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ