শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

বেতন স্কেল এ বৃদ্ধির পরিমান শতভাগ দেখানো হলেও সিনিয়র কর্মকর্তা- কর্মচারীগণ তেমন লাভবান হবেন না। ধরাযাক কারো বেতন স্কেল ৫৫০০ টাকা। সিনিয়র হয়ে এই মুহুর্তে তার মূল বেতন ১০০০০ টাকা। নুতন পে স্কেল অনুযায়ী তার বেতন স্কেল হবে ১১০০০ হাজার টাকা। লক্ষ্য করুন ঐ কর্মচারী বর্তমানে বেতন পাচ্ছেন ১০০০০ টাকা এবং মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন ২০০০ টাকা। তাহলে তার মোট মুল বেতন বর্তমানে হলো ১২০০০ টাকা। নুতন স্কেল অনুযায়ী হবে ১১০০০ হাজার টাকা। নুতন সুপারিশ অনুযায়ী বেতন স্কেল ‍দ্বিগুল হলেও ঐ কর্মচারীর কোন লাভ হবে না। এরূপ সকল সিনিয়র কর্মকর্তা- কর্মচারীই প্রতিটি পেস্কেল এ সুবিধা বঞ্চিত হন। অথচ সরকার ও মিডিয়াগুলো ফলাও করে প্রচার করে বেতন ৭০/৮০/৯০/১০০ পারসেন্ট বৃদ্ধি করা হয়েছে। আসলে সরকার পেস্কেল দিয়ে কখনো ‍বেতন বৃদ্ধি করেন না। স্কেল বৃদ্ধি করেন যার সুবিধা শুধু মাত্র ফিক্সড পে এর অর্ন্তভূক্ত ও নুতন যোগদান করা কিছূ কর্মকর্তা- কর্মচারী পেয়ে থাকেন। এর সংখ্যা মোট কর্মচারীর শতকরা ২-৩ ভাগ। বাকীরা তেমন কোন লাভবান হননা। উন্নত বিশ্বে বেতন নির্ধারনে স্বীকৃত হার রয়েছে। যেটা হলো ৪:১ । অর্থাৎ সর্বোচ্চ বেতন ৪ টাকা হলে সর্বনিম্ন বেতন হবে ১ টাকা। এই নিয়ম অনুযায়ী বেতন নির্ধারন করাই হলো আইএলও এর স্বীকৃত নীতি। বাংলাদেশ এই নীতি অনুসরন করে না। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে কোন পে কমিশনই এই নীতি ধার ধারেন নি। যে কারনে বেতন বৈষম্য ব্যাপক হারে রয়ে গেছে। বর্তমান পে কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সর্বোচ্চ বেতন সুপারিশ করা হয়েছে ৮০০০০ টাকা। সে হিসেবে সর্বনিম্ন বেতন হওয়ার কথা ছিল ২০০০০ টাকা। অথচ সুপারিশ করা হয়েছে ৮২০০ টাকা। আবার সিনিয়র সচিবদের ৪০০০ টাকা বেশি। মন্ত্রিপরিষদ সচিবদের ১০০০০০ টাকা। সি হিসেবে বেতনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন রেসিও দ্বারায় সারে১২ : ১ । এ অবিচার পৃথিবীর কোথাও নেই। অথচ বাংলাদেশে চলছে সৃষ্টি থেকে অদ্যাবধি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ