আপনার সমস্যা গুলো শুনে আমি সর্বপ্রথম আপনাকে একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে বলবো। আর আমাদের কাছে যেহেতু পরামর্শ জানতে চেয়েছেন তাই কিছু কথা উল্লেখ্য করছি- ব্রণ একটি সাধারণ অথচ দীর্ঘমেয়াদি ত্বকের সমস্যা। এটিকে যত্নের সঙ্গে সারিয়ে না তুললে শেষ পর্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক অবস্থায় এসে দাঁড়ায়। সাধারণত মুখে যেমন গাল, নাক, থুতনি ও কপালে হতে দেখা যায়। তবে শরীরের উপরের অংশে ও হাতের ওপরের অংশেও হরহামেশাই হতে দেখা যায়। টিনএজারদের মধ্যে শতকরা নব্বই ভাগের ক্ষেত্রেই কম অথবা বেশি পরিমাণে এটি হয়ে থাকে। বিভিন্ন কারণে ব্রণ হতে পারে। এর মধ্যে আছে, হরমনের পরিবর্তন, ত্বকে ধুলোময়লা জমে থাকা, বংশগত কারণ, ত্বকে ভিটামিনের অভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য। ✏ ব্রণ থেকে বাঁচার সহজ কিছু নিয়ম, যা মেনে চললে খুব সহজেই ব্রণ আপনার কাছ থেকে দূরে থাকবে : * সাধারণত তৈলাক্ত ত্বকেই ব্রণের সংক্রমণ বেশি হয়। তাই সবসময় মুখ পরিষ্কার রাখুন। * বাইরে থেকে ঘরে ফিরে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন। * দিনে কমপে দু বার গোসল করুন। * প্রতিদিন অন্তত তিন-চার বার মুখ ধোয়ার অভ্যাস করুন। ব্রণের উৎপাত অনেকটা কমে যাবে। * মুখে সাবান ব্যবহার না করে ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন তবে তা আপনার ত্বকের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। * ত্বকে নিয়মিত ময়দা, দুধ ও মধুর পেস্ট লাগান, ব্রণের দাগ চলে যাবে এবং ত্বক উজ্বল হবে। * মুখে ব্রণ দেখা দিলে তা নখ দিয়ে খোঁটাখুঁটি করা একদম ঠিক না। এতে ত্বকে ব্রণের দাগ স্থায়ী হয়ে যাবে । এছাড়া খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে কিছু পরামর্শ উল্লেখ্য করছি আশাকরি কাজে লাগবে : * তৈলাক্ত খাবার, ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন। * বেশি করে শাকসবজি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। * পেট পরিষ্কার রাখা খুবই জরুরি। অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে ত্বকে ব্রণ দেখা দেয়। * নিয়মিত সবুজ শাকসবজি আর টাটকা ফলমূল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে প্রতিকার পাওয়া যায়। * সব থেকে প্রচুর পানি খেতে হবে। *ব্রণের জন্য তুলসি পাতাররস খুব উপকারী। কারণ তুলসি পাতায় আছে আয়ূরবেদিক গুণ। শুধুমাত্র তুলসি পাতার রস ব্রণআক্রান্ত অংশে লাগিয়ে রেখে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এরপর কুসুম গরমপানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
এই জাতিয় ব্রন আমারো উঠতো,এগুলার সমস্যা হলো এই ব্রন গুলা দিয়া গরতো হইয়া যায় মুখে,আপনি রোজ রাতে acne aid bar সাবান দিয়ে মুখ ধুয়ে /গোসল করে পরিস্কার বালিশে ঘুমাবেন। আর রোয়াকুটেন ক্যাপ্সুল রোজ এক্টা করে ৪ মাস খাবেন।ক্যাপ্সুল টা এক্টু দামি,৩০ টা ক্যাপ্সুল এর দাম ৪২০০ টাকা। roaccutane 20 mg.আসা করি এতে আপ্নি ভালো হয়ে যাবেন।
ব্রণ সমস্যার কিছু সহজ সমাধান: লেবুলেবুর রস দ্রুত ব্রণ নিরাময়ে সাহায্য করে। তুলায় লেবুর রস নিয়ে ব্রণের উপর সরাসরি প্রয়োগ করতে হবে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্যবহার করলে বেশি ভালো কাজ করবে। পেপারমিন্ট তেল ব্রণের উপর কয়েক ফোঁটা পেপারমিন্ট তেল নিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করে অল্প সময় অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই তেল ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। শসায় আছে ভিটামিন এ, সি এবং ই। আর এই ভিটামিনগুলো ব্রণ দূর করতে বেশ কার্যকর। শসা মিহি করে সামান্য পানিতে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করেতে হবে। পেস্টটি পুরো মুখে বিশেষ করে ব্রণের উপর লাগিয়ে অপেক্ষা করতে হবে। ত্বকে মিশ্রণটি শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। বরফত্বক শীতল রাখার পাশাপাশি ব্রণের সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে। একটি কাপড়ে বরফ পেঁচিয়ে ব্রণের উপর চেপে কয়েক সেকেন্ড ধরে রাখতে হবে। এরপর আবারও কিছু সময় অপেক্ষা করে ব্রণের উপর বরফ চেপে ধরে রাখতে হবে। গরম ভাপ ত্বকের ক্ষতিকর দূষিত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে গরম ভাপ। গরম পানির সংস্পর্শে ত্বক নিয়ে পাঁচ মিনিট ভাপ নিতে হবে। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ভালোভাবে মুছে নিন। মুখ শুকিয়ে গেলে ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। বেকিং সোডা আধা কাপ সোডার সঙ্গে পরিমাণমতো পানি মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই মিশ্রণ ত্বকে মেখে হালকা হাতে মালিশ করতে হবে। পাঁচ থেকে ছয় মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মুখ মুছে শুকিয়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। ডিমের সাদা অংশতিনটি ডিমের সাদা অংশ আলাদা করে ভালোভাবে ফেটে নিন, যেন ঘন ফোম তৈরি হয়। ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করে ডিমের ফোম লাগিয়ে নিতে হবে। প্রথমবারের পর মিশ্রণ শুকিয়ে গেলে আবারও আরেক মিশ্রণ লাগিয়ে নিতে হবে। এভাবে চারটি ধাপে মিশ্রণ লাগাতে হবে। ২০ মিনিট অপেক্ষা করে শুকিয়ে যাওয়ার পর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। পেঁপে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে পেঁপের পেস্ট তৈরি করুন। মাস্কটি ত্বকে মেখে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ২০ মিনিট অপেক্ষার পর পুরোপুরি শুকিযে গেলে ত্বক ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। ওটমিলএক্সফলিয়েট করে ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নেয় ওটমিল। এক কাপ রান্না করা ওটমিলের সঙ্গে লেবুর রস ও এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। মিশ্রণটি ত্বকে মেখে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। সপ্তাহে এক বা দুবার এই মাস্ক ব্যবহারে উপকার পাওয়া যাবে। কার্টেসী- বিডিসব ডট কম।
ব্রণ যেখানেই হোক ব্রণের জন্য সবচেয়ে কার্যকরী মহৌষধ হলো, হাত না লাগানো! এই মহৌষধটি আপনি একবার ব্যবহার করতে পারলে আর পস্তাতে হবেনা। যদি বেশি চুলকায় হাত ব্যতীত অন্য কোন জীবাণু মুক্ত মাধ্যম ব্যবহার করুন। কোনও ধরণের সাবান ব্যবহার না করতে পারলে তাড়াতাড়ি সেরে ওঠার সম্ভাবনা বেশি। তবে রোগটি সম্পূর্ণ সেরে উঠতে এই ঔষধের পাশাপাশি দুটি শর্ত আছে সেগুলো পালন করতে হবে! ১| প্রচুর পরিমাণ ধৈর্য লাগবে। ২| সেরে উঠা পর্যন্ত ঔষধ চালিয়ে যেতে হবে। পরিচিত এক হোমিও ডাক্তারের পরামর্শে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। ধন্যবাদ।
ব্রণ সাধারণত বয়োসন্ধিকালের হয়ে থাকে। ব্রন তিন ধরনের হয় যা ১)বুক ২)পিঠ এবং ৩)মুখ সাধারণত এই তিন জায়গায় ব্রণ হয়। যার প্রত্যেকটা জায়গাতেই আপনার ব্রন হয়েছে। তাই আমার প্রথম পরামর্শ আপনি কোনো ভালো ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। ডাক্তারদের মতে, ব্রণ সাধারণ অথচ দীর্ঘমেয়াদী ত্বকের সমস্যা। যেটা প্রথম থেকে সারিয়ে এ না তুললে,পরে ক্ষত সৃষ্টি করে। ব্রনে বেশি খোঁচাবেন না কারন তা পেঁকে গিয়ে ত্বকে কালো দাগ সৃষ্টি করে। ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রথম শর্ত হচ্ছে মুখের তৈলাক্ততা দূর করা। দিনে বেশী বেশী করে মুখ ধৌত করেন এবং যে বিছানায় ঘুমান তার বালিশ ও কাঁথা পরিস্কার রাখুন। শরীরের ত্বকে সাবান ব্যবহার না করে ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন। তৈলাক্ত যুক্ত খাবার ও ক্ষতিকর চিনি খাওয়া পরিহার করুন। ব্রণের জন্য তুলসীপাতার রস খুবই প্রয়োজনীয়। তাই তুলসী পাতার রস খেতে পারেন।