শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

টার্নার সিন্ড্রোম একটি জিনতাত্বিক বিশৃঙ্খলা। কোন নারীর শরীরে একটি X ক্রোমজোম (সন্তান মেয়ে কিংবা ছেলে নির্ধরনকারী ক্রোমজোম) অনুপস্থিত কিংবা বিকলাঙ্গ থাকলে টার্নার সিনড্রোম দৃশ্যমান হয়। এ সমস্যা শুধুমাত্র নারীর জন্য প্রযোজ্য। ১৯৩০ সালে ডক্টর হেনরী টার্নার প্রথম এই সিন্ড্রোমের বিশদ ব্যখ্যা উপস্থাপন করেন। তাই ডক্টর টার্নারের নামানুসারে এ রোগের নামকরন করা হয়। টার্নার সিন্ড্রোমের কারন কি? পুর্বে জেনেছেন নারী শরীরে স্বাভাবিক প্রাপ্ত দুটি X ক্রোমজোমের একটি X ক্রোমজোম অনুপস্থিত কিংবা বিকলাঙ্গ থাকলে টার্নার সিনড্রোম পরিলক্ষিত হয়। এ রোগ জিনগত ক্রুটি ব্যতিত অন্য কোন রোগের কারন কিংবা আবহাওয়ার ভিন্নতার সাথে সম্পর্কিত নয়। অসম্পুর্ন X ক্রোমজোম যেকোন নারীর ক্ষেত্রে দেখা যেতে পারে। এর সাথে বংশগত কিংবা পরিবেশগত কোন নিয়ামক যুক্ত নয়। টার্নার সিনড্রোম কিভাবে পর্যবেক্ষন/ডায়াগনোসিস করা হয়? টার্নার সিনড্রোম নির্নয়ে সবচে বেশি ব্যবহৃত পদ্ধতি হলো কেরিওটাইপ (karyotype) নামক একপ্রকার রক্ত পরীক্ষা। karyotype বিশ্লেষনে সবগুলো ক্রোমোজমের গঠনতন্ত পর্যবেক্ষন করা হয়। টার্নর সিন্ড্রোমের অধিক পরিলক্ষিত লক্ষন সমুহঃ বামুন আকারের (অস্বাভাবিক কম শাররীক উচ্চতা) নারী প্রজননতন্ত্রে ডিম্বকোষ সুগঠনে অসামর্থ।-webbed ঘাড়। স্বল্প দৈর্ঘ্য ঘাড়। হাত এবং পায়ের নখের অস্বাভিকতা। ঘাড়ের অনেক নিচ পর্যন্ত মাথার চুল গজায়। হৃদপিন্ডের ক্রুটিপুর্ন গঠন। ক্রুটিযুক্ত কিডনী এবং প্রসাব নালী। শ্রবণ প্রতিবন্ধী। ছোট বয়সে ঘন ঘন কান পচাঁ। হাতের বাহু থেকে কব্জির দৈর্ঘ্যের অস্বাভাবিকতা। স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট আকারের চোয়াল। টার্নার সিন্ড্রোম কি রকম শাররীক জটিলতা সুষ্টি করতে পারে? অনেক টার্নার সিন্ড্রোম রোগীর ক্ষেত্রে হৃদরোগ, কিডনী জটিলতা এবং থাইরোয়েড সমস্যা, কঙ্কালতন্ত্রের গঠনগত ক্রুটি, শ্রবণ এবং কানে সমস্যা (এক বা একাধিক সমস্যা) হবার সম্ভাবনা প্রকট থাকে। টার্নার সিন্ড্রোমের কি কোন চিকিৎসা আছে? না, এখন পর্যন্ত টার্নার সিন্ড্রোমের কোন প্রকার চিকিৎসা আবিষ্কৃত হয়নি। তবে টার্নার সিন্ড্রোমে সৃষ্ট শাররীক জটিলতা চিকিৎসার মাধ্যমে সমস্যা কমানোর চেষ্টা করা হয়। বেশিরভাগ রোগীকে হরমোন চিকিৎসা এবং ইস্ট্রোজেন রিপ্লেসমেন্ট করে সুস্থ রাখার চেষ্টা করা হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ