পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন- “আল্লাহ ন্যায়পরায়ণতা, সদাচরণ এবং আত্মীয়-স্বজনকে দান করার আদেশ দেন এবং তিনি অশ্লীলতা, অসঙ্গত কাজ এবং অবাধ্যতা করতে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদের উপদেশ দেন যেন তোমরা স্মরণ রাখ।” সূরা নাহাল, আয়াত ৯০

মহান আল্লাহ তাআলা আরো ইরশাদ করেন- মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন। ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। -সূরা নূর-৩০-৩১ 

নুমান ইবনে বাশীর রা.বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি,তিনি বলেছেন-নিশ্চয়ই হালাল স্পষ্ট। হারামও স্পষ্ট। আর উভয়ের মাঝে আছে বহু সন্দেহজনক বিষয়। অনেকেই তা জানেনা-তা হালালের অন্তভুক্ত। না হারামের অন্তর্ভুক্ত। যে ব্যক্তি স্বীয় দ্বীন ও সম্মান বাঁচাতে গিয়ে তা পরিত্যাগ করল সে নিরাপদ থাকল। আর যে ব্যক্তি এর কিছু অংশেও নিপতিত হয়,আশংকা হয় সে হারামে নিপতিত হবে। যেমন কেউ যদি সংরক্ষিত তৃণভূমির পাশে পশু চরায় তবে আশংকা আছে যে, সে তাতে নিপতিত হবে। সাবধান,প্রত্যেক বাদশাহের সংরক্ষিত এলাকা থাকে। সাবধান,আল্লাহর সংরক্ষিত এলাকা হল,তাঁর নির্ধারিত হারামসমূহ। সাবধান, নিশ্চয়ই মানবশরীরে একটি গোশত-টুকরো আছে। যখন সেটা সঠিক হয়ে যায়,তখন পুরো শরীর ঠিক হয়ে যায়। আর সেটি নষ্ট হলে ,পুরো শরীরও নষ্ট হয়ে যায়। জেনে রাখ,সেই গোশত-টুকরো হল,অন্তর।”  -সহীহ বুখারী, হা. ৫২, ২০৫১, সহীহ মুসলিম, হা. ১৫৯৯, জামে তিরমিযী, হা. ১২০৫, সুনানে নাসেঈ, হা. ৪৪৫৩, ৫৭১০, সুনানে আবূ দাউদ, হা. ৩৩২৯, সুনানে ইবনু মাজাহ, হা. ৩৯৮৪, মুসনাদে আহমাদ, হা. ১৭৮৮৩, ১৭৯০৩, ২৭৬৩৮, ১৭৯৪৫


উক্ত আয়াত ও হাদীস দ্বার বুঝা যায়। খারাপ ভিডিও আসার সাথে সাথে চোখ হিফাযত করতে হবে। আর যদি দৃষ্টি হিফাযত সম্ভব না হয়। তাহলে ইউটিউবে ভিডিও দেখা আপনার জন্য বৈধ নয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ