ভারী মৌলসমূহের (বিশেষ করে পারমানবিক সংখ্যা ৮৩ বা ৮৪ এর পর থেকে) নিউক্লিয়াসে নিউট্রন সংখ্যা বেশি হওয়ায় এর নিউক্লিয়াস অস্থিতিশীলতা অর্জন করে। এবং, নিউক্লিয়াস ক্রমাগত ক্ষয় হতে থাকে।এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ঘটনা। ব্যাহ্যিক কোনো শক্তি এই নিউক্লিয়াসের ক্ষয়কে প্রভাবিত করতে পারে না। নিউক্লিয়াস ভাঙনের সময়ঃ
•n → p± + e–
নিউক্লিয়াস থেকে নিউট্রন ভেঙে এন্টিনিউট্রিনো, ধনাত্মক আধান বিশিষ্ট প্রোটন ও ঋণাত্বক আধান বিশিষ্ট ইলেকট্রন তৈরী হয়।
নিউক্লিয়াস থেকে হিলিয়াম নিউক্লিয়াস আকারে আলফা কণা, ইলেকট্রন আকারে বিটা কণা ও গামা রশ্মি নির্গত হতে থাকে।
এভাবে নিউক্লিয়াসের ক্রমাগত ক্ষয়ের ফলে এর প্রোটন সংখ্যা কমতে থাকে। এবং, মৌলটি বিসমাথ নামক ৮৩ নম্বর মৌলে পরিণত হয়ে স্থিতিশীলতা অর্জন করে।
নিউক্লিয়াসের এই ভাঙনের ফলে ক্রমাগত আলফা, বিটা ও গামা রশ্মি নির্গত হওয়াকেই মূলত তেজস্ক্রিয়তা বলা হয়।