অশ্বগন্ধা পরিচিতি
অশ্বগন্ধা একটি ভেষজ উদ্ভিদ। এই গাছের পাতা সেদ্ধ করলে ঘোড়ার মূত্রের মতো গন্ধ বেরোয় বলে একে অশ্বগন্ধা বলে। এই পাতার বৈজ্ঞানিক নাম ‘উইথানিয়া সোমনিফেরা (এল) ডুনাল’। আয়ুর্বেদে একে বলা হয় বলদা ও বাজিকরি।
স্বপ্নদোষ হলে অশ্বগন্ধা যেভাবে সেবন করবেন
হস্তমৈথন, স্বপ্নদোষ বা কোন রোগ ভোগের পর যৌন শক্তি কমে গেলে, আগা মোটা গোড়া চিকন, বাঁকা তেরা, বীর্য পাতলা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিলে বা অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ কমাতে যা করণীয়-
প্রথমে নতুন তেতুল পাতার প্রায় আধা কাপ রস সকালে খালি পেটে খেতে হবে ২২ দিন। কারণ অনেকেরই সিফিলিস গনোরিয়ার দোষ থাকে তা কেটে যাবে। না থাকলেও খেয়ে নিলে ভাল। এমনিতে ইহা খেলে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া, কিট কিট করা বা কোন সমস্যা থাকলে ভাল হয়। ২২দিন খাওয়ার পর তেতুল বিচি, অশ্বগন্ধা, শতমূল, আলকুশি, শিমুল মূল এই পাচটির সুকনা পাউডার বা গুড়া কবিরাজি দোকানে পাওয়া যায় তা কিনতে হবে। সম পরিমান। অতঃপর পাউডারগুলি একত্রে মিলাইয়া কৌটায় রাখিবে।
দৈনিক সকালে খালি পেটে দুই চামচ পাউডার পারলে হালকা গরম পানির সাথে মিশাইয়া খাবে। আবার বিকালে বা রাতে একবার। গরম ভাতের মারের সাথে মিশাইয়া খাওয়া যায়। বেশী ভাল হয় দুধের সাথে একটু মিশ্রি দিয়া। বিবাহিতরা মধু দিয়া খাবে। অবিবাহিতরা মধু যেন না খায়।
খেতে থাকুন। সমস্যার সমাধান হবে ইনসাল্লা। স্বপ্নদোষের বেলায় স্বপ্নদোষ কমতে থাকবে। যদি না কমে তাহলেও খেতে থাকুন।
কেননা, স্বপ্নদোষের কারণে যে ক্ষতি হয় তা সাথে সাথে পূরণ হয়ে যাবে ঔষধগুলি খেলে। পরে এই বয়সটা পার হয়ে গেলে দেহে ক্ষতির প্রভাবটা থাকবে না এবং পরবর্তীতে বিবাহিত জীবনেও জটিলতা দেখা দিবে না। না খেলে এই ক্ষতির ছাপ বিবাহিত জীবনে দেখা দেয় এবং চরম সমস্যায় পড়তে হয়।
যদি প্রথমে ২২দিন তেতুল পাতার রস যোগাড় করতে না পারেন তাতে তেমন কোন সমস্যা নাই। কারণ তেঁতুল বিচিতেও সেই কাজটি করে।