ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাটিয়া চলিল। হয়ত এটা নিছকই মজার একটা কথা, "ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাটিয়া চলিল, কিছুদূর গিয়া মর্দ রওনা করিল" আবার অন্য আতলামীয় অর্থও হতে পারে। যেমন, ঘোড়ার সামর্থ আছে দৌড়ানোর। জোরে ছুটে গন্তব্যে পৌছাতে পারে সে। তেমনি যার সামর্থ আছে কিন্তু অলস বা নিজ লক্ষে পৌছাতে গড়িমসি করে সে যেন ঘোড়ায় চড়েও হেটে যাবার মত। আর পরের লাইনটার আতলামীয় ব্যাখ্যা হতে পারে এমন যে, আমরা অনেক সময় কাজ করি কিন্তু অনুভব করি না। করতে করতে হয়ত একসময় ফীল করি কোন কাজ। তখন সেটা সত্যিকার অর্থে করা বলা যায়। তেমনি হয়ত পথে চলছি কিন্তু জানি না লক্ষ কি, ছোটার দরকার ছুটছি। হয়ত একসময় বুঝতে পারি , তখন সেইমত কাজ করি। এটাই হয়ত কিছুদূর গিয়া রওনা করার মত। বাহ, মনে হইতেছে আমি চাইলে বেশ আঁতেল হইতে পারিব
এখানে একজন বাহন বা ঘোড়া আছে আর আছে একজন মর্দ ( সে নারী নয়, পুরুষ) । ঘোড়ায় চড়ার পরেও মর্দ নিজে হাঁটছে কারণ ঘোড়ায় বসা লোকটার অনেক লম্বা ঠ্যাঙ বা পা । তাই এর ব্যাখ্যা মজার হলেও আসলে ঘোড়া আর মর্দকে একই সত্তা বোঝানো হয়েছে । যার মানে যে চালক, সেই বাহন।