শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

ব্যাংকে টাকা রেখে কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন করার কতইনা সহজ। আর এই কার্ড আছে তিন ধরণের।  ১ ভিসা কার্ড, ২ মাস্টার্ড কার্ড ৩ ও আমেরিকান এক্সপ্রেস।  প্রত্যেকটা আবার দুই প্রকার ১ ক্রেডিট কার্ড ২ ডেবিট কার্ড।  আপনি যে দুটি জানতে চেয়েছেন তা নিম্নে দেওয়া হল।  ভিসা কার্ড ভিসা কতৃপক্ষ সরাসরি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড প্রদান করে না কিংবা কোন ধরনের কার্ডের জন্য ক্রেডিট সীমা নির্ধারন করে না। এটি শুধুমাত্র আর্থিক প্রতিষ্টানগুলো বিশেষ করে ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের প্রদানের লক্ষে ভিসা ব্রান্ডের সরঞ্জাম প্রদান করে । ভিসা কতৃপক্ষ দু’টি শুধুমাত্র ট্রানজ্যাকশন নিয়ন্ত্রন করে, বাদবাকি সুবিধাগুল সম্পূর্ণই কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রনে থাকে। তাই আপনাকে নিজের সুবিধা অনুযায়ী ব্যাংককে বেছে নিতে হবে যে কোন ব্যাংক তাদের শর্ত মোতাবেক আপনাকে ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করবে। ভিসা বেস কার্ড এবং মাস্টারকার্ড বেস ক্রেডিট কার্ড প্রায় একই ধরনের সুযোগ সুবিধা দেয় যেমনঃ গাড়ির ইন্স্যুরেন্স, অতিরিক্ত ওয়ারেন্টি পাওয়ার সুবিধা, জরুরি সময়ের জন্য ইমার্জেন্সি সুবিধা, কার্ড নষ্ট হয়ে গেলে অটো রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা। মাস্টারকার্ডের ওয়ার্ল্ড লেভেল এবং ভিসা সিগনেচার ক্রেডিট কার্ড প্রায় কাছাকাছি সুযোগ সুবিধা দেয়। তবে মাস্টারকার্ডের ওয়ার্ল্ড এলিট লেভেল এসব সুবিধাসহ কিছু বাড়তি সুবিধাও দেয়। যেমনঃ বিভিন্ন ধরনের ভ্রমণ সুবিধার উপর ডিসকাউন্ট দেয়, এয়ারটিকেটের দামেও ডিসকাউন্ট দেয়। দেখা যাবে আপনিও ভিসা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করছেন আপনার বন্ধুও ভিসা ক্রেডিট কার্দ ব্যবহার করছে অথবা আপনার দু’জনই মাস্টারকার্ড ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করছেন। কিন্তু কার্ড ইস্যুকারি কোম্পানি (ব্যাংক) আলাদা হওয়ার কারণে দুজনের সুযোগ সুবিধায় অনেক পার্থক্য! ডেবিট কার্ডঃ  প্রথমে টাকা জমা করবেন। আপনার এ্যাকাউন্টে বা কার্ডে যত টাকা থাকবে তার বেশি ব্যবহার বা খরচ করতে পারবেন না বা তুলতে পারবেন না।ইহা পুরাই প্রি- পেইড সিমের মতো । ক্রেডিট কার্ডঃ একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পর্যন্ত ব্যবহার বা খরচ করতে পারবেন বা তুলতে পারবেন। নির্দিষ্ট সময় পর টাকা পরিশোধ করতে হবে। বিদ্যুৎ বিলের মত ধরে নিতে পারেন। ইহা পুরাই পোস্ট- পেইড সিমের মতো ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ