পোস্টমর্টেমকে বাংলায় বলা হয় ময়না তদন্ত। পোস্টমর্টেমের আরেকটি নাম রয়েছে, আর সেটি হচ্ছে ‘অটপসি’ । অটপসি শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ অটপসিয়া থেকে । সাধারণভাবে অটপসি হলো আইনানুগ ভাবে মৃতদেহ পরীক্ষা করে মৃত্যুর কারণ উদঘাটন করা। পোস্টমর্টেম বা ময়না তদন্ত করা হয় মৃত মানুষের শরীরে । কেউ অপঘাত, আত্মহত্যা, দুর্ঘটনা ইত্যাদি কারণে মারা গেলে বা এক কথায় অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে তার মৃত দেহকে ময়না তদন্ত করা হয় । পারিভাষিক সংজ্ঞা প্রদান করতে গেলে বলতে হয়, কোনও ব্যক্তি কখন, কিভাবে, কোথায়, কিসের দ্বারা মৃত্যু বরণ করেছে বা তার মৃত্যু কি স্বাভাবিক নাকি অস্বাভাবিক এই সকল তথ্য জানার জন্য মৃতদেহকে যে বিশেষ পরীক্ষা করা হয় তাকে পোস্টমর্টেম বা ময়না তদন্ত বলে । খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ অব্দে মিসরীয়রা মমি তৈরির জন্য মৃতদেহকে ব্যবচ্ছেদ করত। তবে তারা শুধু ধর্মীয় কারণেই তা করত। মূলত মৃত্যুর কারণ জানার জন্য মৃতদেহ ব্যবচ্ছেদের কথা জানা যায় খ্রিস্টপূর্ব ৩০০ অব্দে গ্রিসে। রোমান সাম্রাজ্যে এটি চালু হয় খ্রিস্টপূর্ব ১৫০ অব্দে। ইতিহাস থেকে জানা যায়, জুলিয়াস সিজারের মৃত্যুর পর তার অফিসিয়াল পোস্টমর্টেম হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব ৪৪ অব্দে। এ ছাড়া আরবদের মধ্যে আন নাফিসের কথা উল্লেখযোগ্য। আধুনিক পোস্টমর্টেম ব্যবস্থা চালু করেন ইভোননি মরগাগনি। যাকে পোস্টমর্টেম ব্যবস্থার জনক বলা হয় ।