অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং মোটেই সহজ বা ছোট বিষয় নয়। তবে, স্ট্রাকচারাল বা প্রোসিজুরাল বা ম্যানুয়াল কোডিং-এ যিনি এক্সপার্ট হবেন, তার জন্য অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড কোডিং মোটামুটি সহজ। কারণ, অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড কোডিং প্রোগ্রামিং এর একটি অ্যাডভানস পার্ট। স্ট্রাকচারাল বা প্রোসিজুরাল কোডিং এর চেয়ে অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড কোডিং-এ কোডের লেন্থ কম এবং রিইউজ্যাবল কোডের ব্যবহার সম্ভব হয়। এছাড়া ক্লাস এক্সটেন্ড করে সিমিলার অন্যকোনো ক্লাস বা অবজেক্ট তৈরি করার মাধ্যমে সহজেই কাজ সম্পন্ন করা যায়। যেহেতু অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং সহজ বিষয় নয়, এবং ধরে নিয়েছি বিগেনার অনেকেই এই পোস্টটি পড়বেন, তাই উদাহরণ দিলাম না। তবে, একবার অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড কোডিংয়ের মজা পেলে এবং এতে প্যাশনেট হয়ে পড়লে স্ট্রাকচারাল বা প্রসিজুরাল কোডিং বোরিং লাগবে। এটাও জেনে রাখা ভাল যে, আপনি চাইলেও প্রোজেক্টর ১০০% কোডিং অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড ফ্যাশনে চালিয়ে নিতে পারবেন না। আবার প্রোজেক্টএর ধরণ অনুযায়ী প্রসিজুরাল বা অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড ফ্যাশন ইউজ করা উচিৎ। কারণ, ছোট বা মাঝারি সাইজ প্রোজেক্টে অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড কোডিং আনন্যাসেসারি কমপ্লেক্সিটি তৈরি করবে আবার বড় প্রোজেক্টে প্রোসিজুরাল কোডিং অনেক সময় এবং প্রোজেক্টের সাইজ বাড়িয়ে দিবে। তাই, প্রোজেক্টের ধরণ বুঝে এগুলো ইমপ্লিমেন্ট করা উচিৎ। একজন দক্ষ প্রোগ্রামার হতে হলে আপনাকে OOP বা অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং জানতে হবে। পরবর্তি সময় যখন কোন ফ্রেমওয়ার্ক নিয়ে কাজ করবেন সেখানে অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং আপনাকে সম্পুর্নভাবে হেল্প করবে। কারণ, ফ্রেমওয়ার্কগুলো সময় অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ফ্যাশনে তৈরি। তাই, দক্ষ এবং আডভান্স প্রোগ্রামার হতে হলে অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং এর বিকল্প নেই।
পোগ্রামারের ভবিষ্যত তার স্কিল এবং ক্রিয়েটিভিটির উপর নির্ভর করে।
অন্য আট-দশটা পেশার মতো এই পেশাতেও বর্তমানে কম্পিটিশন প্রচুর। সফলতার মুখ শুধু তারাই দেখতে পায় যারা নিজেদের এক্সেপশনাল হিসেবে প্রমাণ করতে পারে।
পোগ্রামিং এর চাহিদা ভবিষ্যতে আরও বেশকিছু সময় ধরেই থাকবে, তবে এটি মূলধারা থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে। নিজেকে আপডেট আর ফোকাস রাখতে পারলে ফিউচার উজ্জ্বল, নতুবা টিকে থাকায় কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।