শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

যখন অল্পবয়সী শিশু-কিশোররা সামাজিক আদর্শকে লঙ্ঘন করে এবং অপরাধীর মতো আচরণ করে তখন তাদের কিশোর আদালতের অধীনে বিচার করা হয়। এসব শিশু-কিশোরদের বলা হয় কিশোর অপধারী। বাংলাদেশে ৭-১৬ বছর বয়সী শিশুদের কিশোর বলা হয়। এই কিশোররা যখন অপরাধমূলক কাজে জড়িত হয় তখন তাদের কিশোর অপরাধী হিসেবে গণ্য করা হয়। যখন তাদের সমাজ বিরোধী কার্যকলাপ খুব স্বল্পমাত্রা হতে মারাত্মক আকার ধারণ করে, তখন অনেক সময় তাদের আইনের এর অধীনে বিচার করা হয়। বিভিন্ন সমাজ বিজ্ঞানী ভিন্ন ভিন্নভাবে কিশোর অপরাধের সংজ্ঞা দিয়েছেন- (১) সমাজ বিজ্ঞানী সালমানের (ঝঁষসধহ) মতে, 'কিশোর অপরাধ বলতে অপ্রাপ্ত বয়স্ক জনগোষ্ঠীর ওপর পরিবার ও সমাজের নিয়ন্ত্রণহীনতা বুঝায়।' (২) বিসলারের (ইরংষষবৎ) মতে, 'কিশোর অপরাধ হচ্ছে প্রচলিত সামাজিক নিয়মকানুনের ওপর অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোরদের অবৈধ হস্তক্ষেপ।' (৩) ডুবের (উড়ড়ন) মতে, 'শিশু ও কিশোরদের দ্বারা সংঘটিত সামাজিকভাবে নির্ধারিত কোনো কাজ যদি প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী নির্ধারিত আইনের আওতায় আসে তবে তা কিশোর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।' (৪) বার্ট (ইঁৎঃ) এর মতে, 'কোনো শিশুকে তখনই অপরাধী বলে মনে করতে হবে যখন তার অপরাধ ও অমানবিক কাজের প্রবণতার জন্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন হয়ে পড়ে।' উপরোক্ত সংজ্ঞা থেকে আমরা ধরে নিতে পারি যে, অপ্রাপ্ত বয়স্কদের দ্বারা সংঘটিত সমাজ ও আইন বিরোধী এবং রীতিনীতি ও মূল্যবোধের পরিপন্থি কার্যকলাপই হচ্ছে কিশোর অপরাধ। সূত্রঃ দৈনিক জনতা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ