শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
master

Call

মেয়েদের যোনির অংশসমুহের মধ্যে সবচাইতে আলোচিত অংশ এটি। আবিস্কারকের নামানুসারে একে গ্রাফেনবার্গ স্পট বা সংক্ষেপে জি-স্পট বলে। এটি মেয়েদের দেহের সবচাইতে স্পর্শকাতর ও আনন্দদায়ক অংশ হিসেবে পরিচিত। সাম্প্রতিক গবেষনায় জানা গিয়েছে, যে জি-স্পট মূলত ক্লাইটোরিসেরই একটি আংশিক বিচ্ছিন্ন অংশ। অত্যন্ত সংবেদনশীল এ অঙ্গটির অবস্থান হল যোনিপথের সম্মুখ দেয়ালের প্রায় দুই ইঞ্চি মতন ভেতরে, মেয়েদের মূত্রথলির (Bludder) নিচে। যোনির ভেতরটা আঙ্গুল দিয়ে অনুভব করলে, এর প্রবেশপথ থেকে কিছুদুর পর্যন্ত সম্মুখ দেয়ালে (যেদিকে পায়ু আছে তার বিপরীত দিকের দেয়ালে) একটু অমসৃন যায়গার আভাস পাওয়া যাবে (অনেকটা আমাদের মুখের ভেতরে জিহবার বিপরীত দিকে উপরে যে অমসৃন অংশটি আছে তার মত)। এ যায়গাটি ফুরিয়ে গেলেই একটি অগভীর গর্তের মত অংশ পাওয়া যাবে। এই গর্তের মত অংশেই জি-স্পট অবস্থিত। কিন্ত আঙ্গুল ঢুকাতে ঢুকাতে যোনির সম্মুখ দেয়ালের অমসৃন যায়গা পার হয়েও জি স্পট না পেয়ে মসৃন কোন অংশে পৌছে গেলে বুঝবেন আপনি জি-স্পট পার করে এসেছেন, তাই আবার আঙ্গুল নিচে নামিয়ে এনে খুজতে হবে। আঙ্গুলের ডগা দিয়ে জি-স্পট টিপে টিপে মেয়েদের সাধারন ক্লাইটোরাল অর্গাজমের থেকেও বেশি আনন্দদায়ক জি-স্পট অর্গাজম করানো যায়। যে মেয়ে সহজে শীৎকার করে না সেও এই অর্গাজমের সময় পাগলের মত শীৎকার করে উঠবে। এই অর্গাজমেই মূলত মেয়েদের এজাকুলেশন হয়। যারা জানেননা তারা অবাক হবেন একথা শুনে যে মেয়েদের এ এজকুলেটরী রস যোনি দিয়ে নয়, ওদের মূত্রছিদ্র দিয়ে বের হয়ে আসে। অনেক মেয়ে এই অর্গাজম লাভ করেও মূত্রছিদ্র দিয়ে মূত্র বের হয়ে এসেছে মনে করে চরম লজ্জিত হয়ে পরে। কিন্ত পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে এই মূত্র নয়। এতে ক্রিয়েটিনিন, Prostatic acid phosphatase, গ্লুকোজ ফ্রুক্টোজ ইত্যাদি রয়েছে। যা অনেকটা ছেলেদের প্রস্টেট থেকে নিসৃত বীর্যের উপাদান গুলোর মত। এই রসের উৎস Para-urethral tissue মতান্তরে Skene's glands. কিন্ত জি-স্পট অর্গাজমের জন্যও মেয়েটিকে জন্য উপযুক্ত উত্তেজিত করে তোলা ক্লাইটোরাল অর্গাজমের চেয়েও বেশি দরকার। কারন জি-স্পট ক্লাইটোরাল গ্ল্যান্ড বা ভগাঙ্কুর থেকেও স্পর্শকাতর। তাই অনুত্তেজিত অবস্থা সেটা স্পর্শ করা মেয়েটির জন্য চরম অসস্তির।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
fahim99

Call

অনেকেই জিস্পট সম্পর্কে এই প্রথম শুনছেন এটা গ্যারান্টি দিয়ে বলা যেতে পারে। বিশেষ করে বাংলাদেশের নারী বা পুরুষরা এই বিষয়ে কম অবগত বা বলা চলে একেবারেই অবগত নয়। অনেকে হয়ত শুনেছেন কিন্তু লজ্জা বা শঙ্কার কারণে সঠিকভাবে বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না। আসুন জেনে নিই জি স্পট বিষয়টি আসলে কী? 'জি' অক্ষরটি 'গ্রাফিনবার্গ' শব্দের আদ্যক্ষর। গ্রাফিনবার্গ হচ্ছেন একজন গাইনোকলজিষ্ট যিনি ১৯৫০ সালে প্রথম 'ইউরেথ্রার সাথে যোনী পথে মিলনের সময় যৌন উত্তেজনার সম্পর্ক' নিয়ে কলাম লিখেন। 'জি-স্পট' নিয়ে পরবর্তীকালে ব্যাভারিল হুইপলি এবং জন পিরি নামক দুইজন বিজ্ঞানী বিশদ গবেষণা করেন। গ্রাফিনবার্গের কলাম চাপার ৩০ বছর পর এই বিজ্ঞানীদয় গ্রাফিনবার্গের নামানুসারে ‘জি-স্পট’ নামকরণ করেন। 'জি-স্পট' : ইউরেথ্রার (তলপেটের ঠিক পরে যোনীর ছিদ্রের উপরিভাগে গোলাপি রঙের ভাজ করা অংশ) ভিতর অতিসংবেদনশীল কোষ দ্বারা আবৃত ছোট্ট একটি অঞ্চল হচ্ছে ‘জি-স্পট’। নারীর জি-স্পট যৌনাঙ্গের সর্বচ্চ ৫ সেঃমিঃ ভিতরে অবস্থিত। অনেক মহিলা মনে করেন জি-স্পট বলে বিশেষ কোন কিছু নেই। তাদের মতে সমস্ত যোনী সমান সংবেদনশীল। তবে অনেকে জোরালোভাবে দাবী করেন তারা জি-স্পট স্টিমুলেশানের মাধ্যমে পুর্ণ যৌন তৃপ্তি অর্জন করতে পেরেছেন। ইউরেথ্রা এবং যোনীর ছিদ্রের মাঝামাঝি অংশে স্যান্ডউইচের মত ভাজ করা দেখতে অঙ্গটি হচ্ছে ইউরেথ্রাল স্পঞ্জ। নারীর উত্তেজনার সময় জি-স্পট এর অবস্থান সম্পর্কে জানা খুব সোজা। যোনী যখন কামরসে ভিজে যায় এবং যৌনাঙ্গ উত্তপ্ত হয় তখন উত্তেজিত অবস্থায় জি-স্পট সাধারণের তুলনায় বেশি সংবেদনশীল হয়ে উঠে। বেশিরভাগ মহিলার যোনীপথ তলপেটের দিকে ৪৫ ডিগ্রী কৌনিক অবস্থানে থাকে। নারীদের এই জিস্পটে চাপের ফলে অনেকে নারীরই প্রস্রাব হবে বলে এমনটা অনুভূতি হয়ে থাকে। তবে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই কারণ যৌন উত্তেজনার সময় আপনি চেষ্টা করলেও সরাসরি প্রস্রাব চলে আসবে না। এটি শুধুমাত্র জিস্পটে হালকা চাপের এক ধরনের আনন্দদায়ক অনুভূতি। তথ্যসূত্র : আস্কমেন

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ