শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ অ্যান্টিবায়োটিকের সবচেয়ে কমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় পরিপাক নালী, যোনিপথ অথবা মুখে ফাংগাল সংক্রমণ কিংবা পাতলা পায়খানা হতে পারে। শিশুদের উপর অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগে অনেক সময় মোটা হয়ে যাবার ঝুঁকি আছে বলে অতি সম্প্রতি এক মেডিকেল জার্নালে (The International Journal of Obesity, NY School of Medicine, 2012 ) গবেষণা প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যালার্জীঃ Penicillin জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিকে সাধারণ অ্যালার্জী ছাড়াও মুখ ফোলা, জিহ্বায় ফুসকুড়ি এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে শ্বাসের সমস্যা হতে পারে । অনেক ক্ষেত্রে মারাত্মক ধরনের anaphylactic প্রতিক্রিয়াও হতে পারে। অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে সাবধানতাঃ কিডনি বা লিভার ফাংশনে সমস্যা থাকলে এবং গর্ভবতীমায়েদের ক্ষেত্রে কিংবা যেসব মায়েরা বুকের দুধ খাওয়ান, তাদের অবশ্যই অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করার আগে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। কারন অন্য কোন ওষুধের সাথে অ্যান্টিবায়োটিক এর ব্যবহারে যেকোনো ধরনের রিঅ্যাকশন হতে পারে। অন্যদিকে, অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহন করা অবস্থায় ভেষজ বা অন্য কোন ঔষধ ব্যবহার নিরাপদ নয়। অ্যান্টিবায়োটিক এর সঠিক ব্যবহারঃ অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন ও মুখে খাবার ওষুধ- দুই ভাবেই ব্যবহার করা যায়। এমনকি সংক্রমণ জায়গায় অ্যান্টিবায়োটিকক্রিম হিসেবে সরাসরিও লাগানো করা যায়। এর কাজ শুরু হতে বেশ কিছুক্ষন সময় লাগে। অ্যান্টিবায়োটিক এর পুরো কোর্সটি সঠিক সময়ে শেষ করতে হবে। এসব ক্ষেত্রে ঠিক মত নিয়ম মেনে ওষুধ না খেলে সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কোন কোন ক্ষেত্রে এলকোহল এবং দুধ ও দুধ জাতীয় খাবার খেতে মানা করা হয়। কিছু অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ আছে যা খালি পেটে গ্রহণ করতে হয়। তবে এসব কিছুই ভাল ফল দেবে যখন আপনি প্রয়োজন মত ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে আপনার শরীরের সুস্থতায় সঠিক ভাবে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিশ্চিত করবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ