Call

বেগম রোকেয়া সাখাওত হোসেনের জন্ম ১৮৮০ সালের ০৯ ডিসেম্বর রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দপুর গ্রামে। তাঁর পিতার নাম জহিরউদ্দীন মোহাম্মদ আবু আলী হায়দার সাবের এবং মাতার নাম রাহাতুন্নেসা সাবের। 


বেগম রোকেয়া সাখাওত হোসেন যে সময় জন্মগ্রহণ করেন তখন সমাজে নারীদের কোন মূল্যায়ন করা হত না। নারীরা পর্দা ছাড়া ঘর থেকে বের হতে পারতো না। নারীদের কোন শিক্ষা ছিল না। ফলে সমাজে কেবল নারীদের ভোগের পণ্য হিসেবে ব্যবহার করা হত। 


রোকেয়া সাখাওত হোসেন সমাজের এসব নিয়ম শৃঙ্খলাকে তওয়াক্কা করে তিনি নিজে পড়ালেখা চালিয়ে যান। পরবর্তীতে তিনি নারীদের এসব নিয়ম শৃঙ্খলার মেনে না নেওয়ার আন্দোলন গড়ে তোলেন এবং সেই সাথে নারীদের শিক্ষার জন্য কলকাতার ভাগলপুরে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠান করেন। তাই তো রোকেয়া সাখাওত হোসেনকে বাঙ্গালির নারী জাগরণের অগ্রদূত বলা হয়। রোকেয়া সাখাওত তাঁর এই কৃতিত্ব মনে রাখার জন্য তাঁর জন্মস্থান রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রোকেয়া হল নামে একটি হলের নাম রাখা হয়েছে।


ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্ম ১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পশ্চিম বঙ্গের মেদিনীপুর জেলায় জন্ম গ্রহণ করেন। বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের তাঁকে বাংলা সাহিত্যের গদ্যের জনক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এছাড়াও তিনি নারীদের শিক্ষার জন্য গ্রামাঞ্চলে অনেক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন।


তিনি বিধবা বিবাহ আন্দোলনে  সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তাঁর মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে আমরা সুন্দর রুচিপূর্ণ সাধুভাষার ব্যবহার পেয়েছিলাম। বাংলা ভাষা সুন্দর বা রুচিপূর্ণ ভাবে পড়ার জন্য তিনি বাংলা সাহিত্যে বিরাম চিহ্ন বা বাংলায় যতিচিহ্নের প্রচলন করেন। তিনি তাঁর রচিত গ্রন্থ বেতালপঞ্চবিংশতিতে সর্বপ্রথম যতিচিহ্নের প্রচলন করেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ