অ্যালার্জি থেকে রক্ষা পেতে কিছু করণীয়-
- সবচেয়ে বেশি জরুরী ত্বক পরিষ্কার রাখা। দিনে যতবার সম্ভব মুখে পানির ঝাপটা দিন। কোন কৃত্রিম প্রসাধনী ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করুন।
- বেসনে শশার রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর তা ধুয়ে ফেলুন।
- ময়দা ও গোলাপজলের মিশ্রণ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন।
- লবঙ্গ ও মেথি একসাথে পিষে মিশ্রণটি ব্রণের উপর লাগিয়ে রাখুন। যাদের মুখ তৈলাক্ত তাদের জন্য এটি বিশেষভাবে প্রযোজ্য।
- বাইরে বের হওয়ার আগে ১০ মিনিট ত্বকে বরফ ঘষুণ।
- পাতিলেবুর রস তুলায় ভিজিয়ে ত্বকে দুইবার লাগাতে পারেন। অতিরিক্ত ঘাম ত্বকের আর্দ্রতা কমিয়ে ফেলে। ফলে লোমকূপের গোড়ায় বাসা বাঁধে রোগ জীবাণু। ঘাম বেশি হলেও, তাড়াতাড়ি মুছে ফেলার চেষ্টা করুন।
- নিয়মিত গোসল করুন। প্রচুর পানি পান করুন।সানক্রিম ব্যবহার করুন। নিয়মিত ডিওডোরান্ট ও বডি স্প্রে ব্যবহার করুন।
- যাদের ত্বকে নিয়মিত ঘামাচি হয়, তারা নিমপাতার রস লাগালে উপকার পাবেন।
- মেকাপের কারণে ত্বকে র্যাশ এবং অ্যালার্জি হতে পারে। মেকাপ সঠিকভাবে উঠানও জরুরি।যাদের ত্বকে ব্রণের সমস্যা আছে মেকাপ তোলার জন্য তারা খুবই নমনীয় ক্লেনজার ব্যবহার করবেন। চোখের মেকাপ উঠানোর ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যেন বেশি ঘষাঘষি না করা হয়।মেকাপ উঠানোর পর ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করে ত্বকের নমনীয়তা বজায় রাখতে ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
- একমগ পানিতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে পান করে দিনটা শুরু করুন। এটি অ্যন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করবে। আর সকালে কফির বদলে গ্রিন টি পানেও ত্বক সুন্দর থাকবে।
- প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় সবজি ও ফলমূল রাখতে হবে।
অ্যালার্জি একটি প্রতিরোধযোগ্য রোগ। অ্যালার্জির অনেক আধুনিক ওষুধপত্র আজকাল আছে, যার মাধ্যমে খুব অল্পসময়েই অ্যালার্জির কষ্ট ও চুলকানি থেকে রেহাই পাওয়া যায়। তবে স্থায়ী চিকিৎসা কারণ বের করার ওপরই নির্ভরশীল। চিকিৎসক এর উপদেশ ও ওষুধপত্রের মাধ্যমে যেকোন অ্যালার্জির রোগী সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন অনায়াসেই। মনে রাখতে হবে, অ্যালার্জি হঠাৎ করে যেকোন মানুষের, যেকোন সময়, যেকোন বয়সে, বছরের যেকোন সময় হতে পারে। মোট কথা, যে কারণে আপনার অ্যালার্জি হয় সেই কারণ এড়িয়ে চলতে হবে এবং অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।