চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগ হিমোফিলিয়া (Haemophilia) নামে পরিচিত। এটি একটি বংশগত রোগ, তবে লক্ষণীয় বিষয় হল সাধারনত ছেলেদের এই রোগ হয় এবং মেয়েরা এই রোগ বহন করে। মায়ের নিকট থেকে ছেলেরা এই রোগ পায় এবং দেখা যায় মামাদেরও এই রোগ থাকে। বাবার নিকট থেকে ছেলেরা কখনো এই রোগ পায় না। শিশুকাল থেকে এই রোগে আক্রান্তদের রক্তক্ষরণের লক্ষণ দেখা দেয়। সামান্য আঘাতেই রক্তপাত হয়। কোন স্থানে কেটে গেলে সহজে রক্তপড়া বন্ধ হয় না। অনেক সময় অল্প রক্তপাত অনেকক্ষণ ধরে চলতে থাকে এবং মাংসপেশিতে বা পেটের ভেতর রক্ত জমে যায়। এ রোগে আক্রান্তদের সন্ধিতে (Joint) রক্ত জমাট বাঁধাও অন্যতম লক্ষণ। কালক্রমে সন্ধি সম্পূর্ণরূপে বিকৃত হয়ে যায়। কখনো কখনো জন্মের সাথে সাথে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হতে পারে। উপরিউক্ত লক্ষণগুলোর সাথে কখনো কখনো জ্বর, অরুচি ও রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। - জেনে নিন কীভাবে ১০ সেকেন্ডেই শরীরের রক্ত পড়া বন্ধ করা যায়। তবে তার আগে জানা দরকার রক্ত কীভাবে জমাট বাঁধে। অনুচক্রিকা. আমাদের দেহের রক্ত শ্বেত রক্তকণিকা, লোহিত রক্তকণিকা ও অনুচক্রিকা- তিন ধরনের কণিকা দ্বারা গঠিত। এদের মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে অনুচক্রিকা। যখন আমাদের হাত, পা বা শরীরের অন্য কোনো অংশ কেটে যায়, সাথে সাথে অনুচক্রিকা কেটে যাওয়া স্থানে রক্ত জমাট বাঁধিয়ে দেয়, ফলে রক্ত পড়া বন্ধ হয়। কিন্তু কিছু কিছু সময় অনেক বেশি কেটে যাওয়ার জন্য, বা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার ফলে অণুচক্রিকা পূর্ণ ক্ষমতায় কাজ করতে পারে না। এই ক্ষেত্রে অনুচক্রিকার কাজ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য বাইরে থেকে সাহায্যের প্রয়োজন হয়। এই সাহায্যই আপনি নিতে পারেন রান্নাঘর থেকে। গোলমরিচেই সমাধান. সবার রান্নাঘরেই গোলমরিচ থাকে। কোথাও কেটে যাওয়ার সাথে সাথে গোলমরিচের গুঁড়ো কাটা স্থানে লাগিয়ে দিন। দেখবেন ১০ সেকেন্ডের মধ্যে আপনার রক্তপড়া বন্ধ হয়ে গেছে। এসময় সামান্য জ্বালা করলেও এ পদ্ধতি খুবই কার্যকর বলে প্রমাণিত। সুতরাং রান্নার অনুষঙ্গ হিসেবে তো বটেই, এখন থেকে শরীরের কোথাও কেটে গেলেও গোলমরিচ ব্যবহার করুন। তবে মনে রাখবেন, কেটে যাওয়ার পর গোলমরিচ ব্যবহার করলে রক্ত পড়া বন্ধ হবে ঠিকই, কিন্তু ক্ষতস্থান সারিয়ে তোলার জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।