শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

তিন পাগলে হৈল মেলা নদে এসে, তোরা কেউ যাসনে ও পাগলের কাছে। তৎকালীন নদীয়া জেলার পাগল বলতে পন্ডিত ব্যাক্তিকে বোঝানো হয়। একটা পাগলামী করে, জাত দেয় সে অজাতেরে দৌড়ে গিয়ে। আবার হরি বলে পড়ছে ঢলে ধূলার মাঝে। জাত নিয়ে এখন যেমন রেষারেষি চলছে তখনো চলতো। অজাতকে জাত দেওয়া পাগলামী ছাড়া আর কিছুই না, লালন সাঁইযে তেমনই এক পাগল ছিলেন তাই বলেছেন। একটা নারকেলের মালা, তাতে জল তোলাফেলা করঙ্গ সে পাগলের সঙ্গে যাবি পাগল হবি বুঝবি শেষে। নারকেলের মালা বা খোসার আরেক নাম "করঙ্গ" মগ টাইপের ব্যাবহারে নারকেলের মালা ব্যাবহার হত। সাধারণ ভাষায় তাই মনে হয়। কিন্তু এর আরকটি বৈশিষ্ট্য আছে। তা হল করঙ্গ স্থির। তাতে জল তোলাফেলা ছাড়া আর কিছুই হয় না। এটা আমাদের মতন সাধারণ মানুষ যারা স্থির কর্পোরেট টাইপের তাদের প্রতীক। তারা সারা জীবন এক জায়গায় জমেই থাকে। পাগলের নামটি এমন, বলিতে ফকির লালন ভয় তরাইসে চৈতে নিতে অদ্বৈয় পাগল নাম ধরেছে। এই শেষ অংশে এসে লালন তার গুরুদের নাম বলেছেন। গুরুর প্রতি ভক্তি করে গুরুর নাম মুখে নিতে শ্রদ্ধায় কুঁকড়ে বলেছেন, পাগলের নামটি এমন বলিতে ফকির লালন ভয় তরাইসে আর চৈত্যে, নিতেয়, অদ্বৈয় এই তিনজন হলেন শ্রীচৈতন্যদেব, শ্রী নিত্যানন্দ এবং অদ্বৈত আচার্য।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ