১। শারাদ অর্থ শরৎকাল। ঋতুর নামবিশেষ। বাংলায় লিখিত ও উচ্চারিত হয় শরৎ। হিন্দী ও ইংলিশে হয় শারাদ।
২। এ নামে নামকরণ করা হলে গুনা হবে না। নামের অর্থ যদি ইসলামী আকীদা বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক না হয় এবং কুরুচিপূর্ণ না হয় তাহলে এতে গুনা হয় না। তবে আরো সুন্দর অর্থবোধক নাম হওয়া চাই। হাদীসে সুন্দর অর্থবোধক ও নবীদের নামের সাথে মিলিয়ে নাম রাখতে উৎসাহিত করা হয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
‘মহাপ্রলয় দিবসে তোমাদের এবং তোমাদের পিতৃপুরুষের নাম ধরে আহবান করা হবে। সুতরাং তোমরা সুন্দর নাম ধারণ করো।’-সুনানে আবুদাউদ, হাদীস ৪৯৪৮। হাদীসের ভাষ্যমতে আব্দুল্লাহ, আব্দুর রহমান জাতীয় নামগুলো আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়। মুসলিম সন্তানদের এমন নাম রাখা চাই যাতে নামের মাঝেই মুসলিম পরিচয় ফুটে উঠে। এমন নাম রাখা সঙ্গত নয় যাতে ধর্মপরিচয় জিজ্ঞেস করে মুসলিম অমুসলিম নির্ণয় করতে হয়। আজকের সমাজে জাগতিক বিষয়ে নামী দামী অমুসলিম ব্যক্তিদের প্রতি অতিরিক্ত আদিখ্যেতা ও প্রেমবোধ থেকে তাদের নামে নামকরণের হিড়িক দেখা যায়। প্রথমত এগুলোর অর্থের মাঝে তেমন সৌন্দর্য নেই; দ্বিতীয়ত অমুসলিমদের সাথে অন্যায় কারণে ভালবাসার সম্বন্ধ সৃষ্টি করা এবং তাদের সাদৃশ্য গ্রহণ করা শরীয়াগত দিক থেকে চরম আপত্তিকর। হাদীসের ভাষ্যমতে যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায় বা ব্যক্তির সাদৃশ্য গ্রহণ করবে সে তার শ্রেণীভুক্ত গণ্য হবে। অর্থাৎ পরকালীন শাস্তির ক্ষেত্রেও এতদোভয়ের সাদৃশ্য অটুট থাকবে। সুতরাং নাম রাখার ক্ষেত্রে বিধর্মীদের সাথে সাদৃশ্য গ্রহণের মনোভাব থাকলে তা আদৌ বৈধতার পর্যায়ে পড়বে না। ধন্যবাদ।