পিঁপড়াও গণিত জানে!

 “গণিত” শব্দটা শুনলেই হয়ত অনেকেরই প্রাণ আঁতকে ওঠার জো হয়। গণিত মানেই এই নিয়ম সেই নিয়মের হাজারোটা ঝক্কি-ঝামেলা আর বিড়ম্বনা।



অথচ এতো ছোট একটা প্রাণী হলেও পিঁপড়ার গণিত জ্ঞান সত্যি অবাক করার মতো।


ক্ষুদে পিঁপড়ার গাণিতিক পথচলায় হতভম্ব হবে যে কেউ।


আলোর মতই পিঁপড়াদের পথচলাও হয়ে থাকে দ্রুততম পথ ধরে। বিভিন্ন মাপ-যোগ করে বের করে তারা সেই পথটি যেটি তাদের দ্রুত নিয়ে যাবে তার গন্তব্যে।




সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে যখন লাল পিঁপড়া (ইংরেজিতে fire ants, বৈজ্ঞানিক নাম- Wasmannia auropunctata) কোনো পৃষ্ঠে চলে, তখন গন্তব্যে পৌঁছাতে তারা দীর্ঘ পথ ছেড়ে বেছে নেয় কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর পথটি ।


ইতিহাসের সেরা দশ গণিতবিদদের একজন পিয়েরে দ্য ফারমেটের সুত্রানুসারে আলোকবিজ্ঞানে দুটি বিন্দু মাঝে সঞ্চালিত আলোকরশ্মি যে পথটা ধরে এগিয়ে যায় তা যতই ছোট পথ হোক না কেন তা সব সময়ই সবচেয়ে কম সময় লাগে এমন পথটাই বেছে নেয়।


আর পিঁপড়ারাও চলার সময় এই সুত্র মেনেই বিভিন্ন গাণিতিক যোগ-বিয়োগ কষে নিজ গন্তব্যে পৌছায়।


বিজ্ঞানিদের এক পরীক্ষায় দেখা গেছে কাঁচ, মসৃণ পশমী কাপড় আর অমসৃণ কাপড়ের মধ্যে পিঁপাড়ারা কাঁচের ওপর দিয়ে দ্রুততম গতিতে গন্তব্যে পৌঁছায়।


গতিবিদ্যার এতো সব অঙ্ক কষে পথ চললেও পিঁপড়াদের কিছু সীমাবদ্ধতা থেকেই যায়। অল্প দুরত্বের তুলনায় পিঁপড়ারা দ্রুততম পথ চিনে নিতে মাঝে মাঝে কিছুটা ভুল করে।


বিজ্ঞানিদের মতে, পিঁপড়ার জীবন ব্যবস্থা সামাজিক প্রাণীদের স্ববিন্যস্ত রীতি-নীতি আরো বিষদভাবে বোঝার জন্য দ্বার উন্মুক্ত করে দেয়।





শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে