Call

উত্তরঃ ৭টি

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

★প্রথম প্রশ্নের উত্তরঃ

 স্যাটেলাইট হচ্ছে এক ধরনের কৃত্রিম উপগ্রহ।  

মহাকাশে প্রায় ৫০টির বেশি দেশের দুই হাজারের ওপর স্যাটেলাইট আছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- আবহাওয়া স্যাটেলাইট, পর্যবেক্ষক স্যাটেলাইট, ন্যাভিগেশন স্যাটেলাইট ইত্যাদি। তবে বিএস-ওয়ান হল যোগাযোগ ও সম্প্রচার স্যাটেলাইট।

★দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরঃ 
*বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর কাজঃ 
টিভি চ্যানেলগুলোর স্যাটেলাইট সেবা নিশ্চিত করাই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের প্রধান কাজ। এর সাহায্যে চালু করা যাবে ডিটিএইচ বা ডিরেক্ট টু হোম ডিশ সার্ভিস। এছাড়া যেসব জায়গায় অপটিক কেবল বা সাবমেরিন কেবল পৌছায়নি সেসব জায়গায় এ স্যাটেলাইটের সাহায্যে নিশ্চিত হতে পারে ইন্টারনেট সংযোগ।
*স্যাটেলাইট নির্মাণঃ
৩.৭ টন ওজনের বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটটির ডিজাইন এবং তৈরি করেছে ফ্রান্সের কোম্পানি থ্যালাস অ্যালেনিয়া স্পেস। আর যে রকেট এটাকে মহাকাশে নিয়ে যাচ্ছে সেটি বানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের স্পেসএক্স। উৎক্ষেপণ হয় ফ্লোরিডার লঞ্চপ্যাড থেকে।

স্থায়িত্বঃ 
১৫ বছরের জন্য রাশিয়ার কাছ থেকে অরবিটাল স্লট কেনা হয়েছে। তবে বিএস ওয়ানের স্থায়িত্ব হতে পারে ১৮ বছর পর্যন্ত।

স্যাটেলাইট অপারেশনঃ আর্থ স্টেশন থেকে ৩৫ হাজার ৭৮৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে স্যাটেলাইটটির কক্ষপথে যেতে সময় লাগবে ৮-১১ দিন। আর পুরোপুরি কাজের জন্য প্রস্তুত হবে ৩ মাসের মধ্যে। এরপর প্রথম ৩ বছর থ্যালাস অ্যালেনিয়ার সহায়তায় এটির দেখভাল করবে বাংলাদেশ। পরে পুরোপুরি বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের হাতেই গাজীপুর ও রাঙামাটির বেতবুনিয়া আর্থ স্টেশন থেকে নিয়ন্ত্রিত হবে এটি।

খরচঃ 
শুরুতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটটির বাজেট ধরা হয় ২৯৬৭.৯৫ কোটি টাকা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ২৭৬৫ কোটি টাকায় এ পুরো প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হয়। এর মধ্যে ১৩১৫ কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার আর বাকিটা বিদেশি অর্থায়ন।

কারিগরি জটিলতাঃ 
কারিগরি জটিলতায় প্রথম চেষ্টা আটকে যাওয়ার পর দ্বিতীয় দিনে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে রকেটটি উৎক্ষেপণ করায় ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’-এর মহাকাশ যাত্রা শুরু হয়েছে। দুটি পর্যায়ে এ উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

প্রথম পর্যায়টি সম্পন্ন হতে সময় লাগবে ১০ দিন এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে লাগবে ২০ দিনের মতো। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে ৫৭তম দেশ হিসেবে স্যাটেলাইটের মালিক দেশগুলোর অভিজাত ক্লাবে যুক্ত হবে বাংলাদেশ। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ সেবার সম্প্রসারণ করা সম্ভব হবে। দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলা ও ব্যবস্থাপনায় নতুন মাত্রা যোগ হবে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের ৪০টি ট্রান্সপন্ডার রয়েছে। এর মধ্যে ২০ দেশে ব্যবহারের জন্য এবং ২০টি ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা আয় সম্ভব।

এ ছাড়া নিজস্ব স্যাটেলাইট থাকায় বৈশ্বিক টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে পরনির্ভরশীলতার অবসান হবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ টেলিমেডিসিন, ই-লার্নিং, ই-গবেষণা, ভিডিও কনফারেন্স, প্রতিরক্ষা ও দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় জরুরি যোগাযোগের ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখবে।


ধন্যবাদ

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Porimolroy

Call

যে সকল মহাশূন্যযান নির্দিষ্ট উচ্চতায় নিজ নিজ কক্ষ থেকে পৃথিবীকে প্রদক্ষিন করাকে কৃত্রিম উপগ্রহ বলে। তাই স্যাটেলাইট একটি কৃত্রিম উপগ্রহ **এর দ্বারা আবহাওয়া,ইন্টারনেট ফাষ্ট,অন্য দেশকে সুবিধা নিয়ে অর্থ উপার্জন ইত্যাদি

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ