[৪১] হে নারীগণ! তোমরা প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের সামনে বের হলে পাপ হবে এ জাতীয় রক্ষণশীল মনোভাব কখনও মনে ধারণ কর না। ঢিলা ও শালীন পোষাকে তোমরা যে কোনও পুরুষের সঙ্গে মানসিক ও সামাজিক সর্ম্পকের পরিতৃপ্তির জন্য প্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলতে পার এতে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। হাসি খুশী মনে ভদ্রভাবে কথা বল এটাই তোমাদের জন্য উত্তম।
[৪২] পৃথিবীর অনেক রক্ষণশীল ধর্ম, বেগানা নারী ও বেগানা পুরুষের মধ্যে ভেদ রেখা টেনে নারীকে পাথর চাপা দিয়ে রাখে, মহাবাণী সেই ভেদ রেখার মুণ্ডপাত করে নারীকে দিচ্ছে সামাজিক স্বাধীনতা।
[৪৩] কোন পুরুষ যদি তোমাদের পছন্দের বাইরে বা ইচ্ছের বাইরে কোনও কথাবার্তা বলতে অত্যাধিক আগ্রহী হয়ে যায় তাহলে তোমরা নিজেদের বিবেক বুদ্ধি প্রয়োগ করে সেই প্রসঙ্গ এড়িয়ে চলো অথবা কোনও কারণ দর্শায়ে সেখান থেকে প্রস্থান কর। পৃথিবীর অনেক সমাজে নারী-পুরুষের ভদ্র আলাপ চারিতায় ধর্মের নামে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়, আলোছায়া এ জাতীয় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে না।
[৪৪] যারা সন্দেহের কারণে অথবা হিংসার কারণে নারীকে মিথ্যে অপবাদ দেয়, তারা বস্তুত পাপ করে। একদিন তাদের নিজ পারিবারিক আত্মীয়দেরকে এরকম অপবাদে ব্যথিত হওয়ার জ্বালায় ভুগতে হবে, এটাই মহাপ্রভুর প্রাকৃতিক পরিবেশ পরিবেষ্টিত এক অঘোষিত নিয়ম। বস্তুত যে অপরের উপর মিথ্যা বদনাম রটায় সে নিজের জন্য মিথ্যা বদনাম তৈরি করে রাখে।+
[৪৫] এজন্য তোমরা আলোছায়া নিয়মিত পাঠ কর, এটা তোমাদের জন্য বিশেষ উপকারী, এতে আছে জ্ঞানের আলো। অতএব এই বাক্যবাণী পাঠ করার পরও কী তোমরা নারীদের ওপর মিথ্যা বদনাম রটাবে? দেখো মহাপ্রভু কত কৌশলী, তাঁকে দোষ চাপাবার মত কোনও কারণ তোমরা কখনও খুঁজে পাবে না। তিনি সর্বদর্শী ও শ্রেষ্ট বিচারক।
[৪৬] হে অবিবাহিতা নারীগণ! কোনও পুরুষ যদি তোমাদের উপযুক্ত বয়েসের আগে প্রেম নিবেদন করে তবে তাকে বিনয়ের সঙ্গে বল: সে যেন তোমাদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে, এতে দোষের কিছু নেই। হে পুরুষগণ! তোমরা নারীর কাছে প্রেম নিবেদনের আগে চিন্তা করে দেখো তোমাদের মধ্যে কী ধরণের শিক্ষা, গুণাবলী ও মেধা আছে? যদি এ বিষয়ে বেশি গরমিল হয় তাহলে তোমরা নিজেদের সংশোধন কর অথবা জ্ঞানী অভিবাবকদের দ্বারস্ত হও এটাই উত্তম।
[৪৭] ষোল বছরের উর্ধ্বে কোনও বালক কিংবা পুরুষ যদি নারীকে প্রেম নিবেদন করে এবং ব্যর্থ হয়ে এসিড নিক্ষেপ করে তবে আইনের শাস্তি হিসেবে অপরাধীর উপর এসিড নিক্ষেপ কর। এটা মহাপ্রভুর পক্ষ থেকে একটি সরাসরি আইন, এখানে দ্বিতীয় কোনও বিবেচনা নেই, করুনার ও সুযোগ নেই। আদলত যদি তা করতে না পারে, তাহলে তোমরা তোমাদের আত্মীয়-স্বজনের সহায়তা নিয়ে তা কার্যকরী কর, যতদিন এসিড নিক্ষেপকারী বেঁচে থাকে ততদিন।
[৪৮] ১৩ বছরের উর্ধ্বে কোনও কুমারী কন্যাকে যদি বলপুর্বক ধর্ষণ করা হয় তবে ন্যায়পরায়ণ বিচারক ধর্ষণকারীকে অবশ্যই জেল এবং জরিমানার শাস্তি দেবে। যদি ধর্ষনের পর নারীকে হত্যা করা হয় তবে ধর্ষণকারীদের শাস্তি হবে মৃত্যু। যদি ধর্ষিতা নারী সুস্থ থাকে তবে তার এবং তার অভিভাবকদেরকে,ধর্ষণকারী উত্তম ভাবে ক্ষতিপুরণ দিয়ে সন্তুষ্ট করতে পারে তবে তা নিয়ে তোমরা বাড়াবাড়ি করো না।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে