স্বপ্নদোষ একটা স্বাভাবিক বিষয় প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটা পুরুষের হয়ে থাকে। বিশেষ করে অবিবাহিত পুরুষদের ক্ষেত্রে এটা প্রায়েই হয়ে থাকে কেননা বীর্য থলি যখন পরিপূর্ণ হয়ে যায় তখন স্বপ্নদোষ মাধ্যমে তা বাহির হয়।
তবে অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ কখন কখন যৌন সমস্যার কারণ হয়ে দাড়ায়। তাই অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হলে এটা কেন হচ্ছে কারণটা খোঁজে বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, চিকিৎসা করা অপরিহার্য হয়ে পড়ে।
নিচে স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তি পাওয়ার কয়েকটি সহজ উপায় দেয়া হলো অনুুুুসরণ করুন।
১) প্রস্রাব করে নিনঃ প্রথমে আপনাকে রাতে বিছানায় শুতে যাওয়ার আগে প্রস্রাব করে নিতে হবে। কারণ স্বপ্নদোষের আবেগগুলি এবং চাপকে কমাতে সাহায্য করে।
২) অশ্বগন্ধাঃ স্বপ্নদোষের সমস্যায় অশ্বগন্ধা খুবই উপকারে আসে। এটি নিয়মিত এই পাতা সিদ্ধ করে রস সমেত খাওয়া হলে স্বপ্নদোষের ফলে দুর্বল হয়ে পড়া পেশীগুলি সবল হয়ে ওঠে এবং ভিতর দিক থেকেও শক্তিশালী করে তোলে।
৩) ঘুমাবার আগে অতিরিক্ত জল নয়ঃ বিছানায় শুতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত পরিমাণে জল খাবেন না। আর যদি জল খেতে হয় তাহলে মাঝ রাতে উঠে প্রস্রাব করে নিতে হবে। এটি স্বপ্নদোষের কারণ।
৪) ভালো চিন্তা করুনঃ আপনি সারাদিন যা চিন্তা করবেন তার ঘুমাবার সময় অবচেতন মনে সেগুলি স্বপ্নের আকারে দেখা দেবে। যদি খারাপ কিছু চিন্তা করেন তাহলে স্বপ্নদোষ হওয়ার প্রধান কারণ বলে যেতে পারে। আর নীল ছবি দেখবেন না।
৫) হাঁটাচলা করুনঃ রাতে ডিনার সেরে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়বেন না। কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করলে, এই সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৬) মিছরি অথবা পুদিনা পাতাঃ নিয়মিত করে সকালবেলায় মিছরি অথবা পুদিনা পাতা খাওয়া অভ্যাস করুন। এটি স্বপ্নদোষের মত সমস্যাকে দূর করতে সক্ষম।
৭) মনে শান্তি বজায় রাখুনঃ ঘুমাবার আগে এমন কিছু চিন্তা করুন যেগুলি আপনাকে মন ভালো রাখে এবং শান্তি এনে দেয়। তাহলে এই প্রকার সমস্যায় আপনাকে পড়তে হবে না।
৮) সঠিক সময়ে ঘুমানঃ রাতে গিয়ে বিছানায় তখনই শুয়ে পড়বেন যখন আপনার ঘুম আসবে। অর্থাত্ বিছানায় শুধু শুধু শুয়ে থাকবেন না। আর দেরি করে ঘুমানো স্বপ্নদোষ এর অন্যতম কারণ।
৯) ঢিলাঢালা পোশাকঃ স্বপ্নদোষ থেকে রেহাই পেতে হলে নিজেকে সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে তাই ঘুমোবার সময় ঢিলাঢালা পোশাক পরুন।
১০) নীল ছবি নিষেধঃ রাতের বেলায় দিনের অন্য কোন সময়ে এমন কোন ভিডিও বা ছবি দেখবেন না যা যৌনউত্তেনামূলক।
১১) নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন। দুধ, ডিম, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ইত্যাদি জাতীয় খাদ্য। তাছাড়াও আপনি প্রতিদিন খেজুর,মধু, কিসমিস কালোজিরা খান। ধর্মীয় বিধানের প্রদি বিশেষ গুরুত্ব দিন মেনে চলুন। আশাকরি আপনি এই স্বাভাবিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন।