শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

আডলফ হিটলার ( [ˈadɔlf ˈhɪtlɐ] জার্মান ভাষায়: Adolf Hitler আডল্‌ফ্‌ হিট্‌লা) (২০শে এপ্রিল, ১৮৮৯ - ৩০শে এপ্রিল, ১৯৪৫) অস্ট্রীয় বংশোদ্ভূত জার্মান রাজনীতিবিদ যিনি ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। হিটলার ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত জার্মানির চ্যান্সেলর এবং ১৯৩৪ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত সে দেশের ফিউরার ছিলেন। আডলফ হিটলার Adolf Hitler cropped restored.jpg ফিউরার ভাইমার প্রজাতন্ত্রের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি কাজের মেয়াদ ২রা আগস্ট, ১৯৩৪ – ৩০শে এপ্রিল, ১৯৪৫ পূর্বসূরী পল ভন হিন্ডেনবার্গ (রাষ্ট্রপতি হিসেবে) উত্তরসূরী কার্ল ডোনিট্জ (রাষ্ট্রপতি হিসেবে) জার্মানির চ্যান্সেলর রাইখ্‌সকান্‌ৎলার কাজের মেয়াদ ৩০শে জানুয়ারি, ১৯৩৩ – ৩০শে এপ্রিল, ১৯৪৫ পূর্বসূরী পল ভন স্কেলিচার উত্তরসূরী জোসেফ গোয়েবলস ব্যক্তিগত বিবরণ জন্ম ২০শে এপ্রিল, ১৮৮৯ Braunau am Inn, অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি মৃত্যু ৩০ এপ্রিল ১৯৪৫ (বয়স ৫৬) বার্লিন, জার্মানি মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা নাগরিকত্ব অস্ট্রীয় (১৮৮৯-১৯৩২) জার্মান (১৯৩২-১৯৪৫) জাতীয়তা ১৯২৫ সাল পর্যন্ত অস্ট্রীয়; ১৯৩২-এর পর জার্মান রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টি (এনএসডিএপি) দাম্পত্য সঙ্গী ইভা ব্রাউন (১৯৪৫ সালের ২৯শে এপ্রিল বিয়ে করেন) পেশা লেখক, রাজনীতিবিদ, রাষ্ট্রপ্রধান, চিত্রশিল্পী স্বাক্ষর হিটলার প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সৈনিক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে ভাইমার প্রজাতন্ত্রে নাৎসি পার্টির নেতৃত্ব লাভ করেন। অভ্যুত্থান করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন যে কারণে তাকে জেল খাটতে হয়েছিল। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে মোহনীয় বক্তৃতার মাধ্যমে জাতীয়তাবাদ, ইহুদি বিদ্বেষ ও সমাজতন্ত্র বিরোধিতা ছড়াতে থাকেন। এভাবেই এক সময় জনপ্রিয় নেতায় পরিণত হন। নাৎসিরা তাদের বিরোধী পক্ষের অনেককেই হত্যা করেছিল, রাষ্ট্রের অর্থনীতিকে ঢেলে সাজিয়েছিল, সামরিক বাহিনীকে নতুন নতুন সব অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত করেছিল এবং সর্বোপরি একটি সমগ্রতাবাদী ও ফ্যাসিবাদী একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিল। হিটলার এমন একটি বৈদেশিক নীতি গ্রহণ করেন যাতে সকল "লেবেনস্রাউম" (জীবন্ত অঞ্চল) দখল করে নেয়ার কথা বলা হয়। ১৯৩৯ সালে জার্মানরা পোল্যান্ড অধিকার করে এবং ফলশ্রুতিতে ব্রিটেন ও ফ্রান্স জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এভাবেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধের অক্ষ শক্তি তথা জার্মান নেতৃত্বাধীন শক্তি মহাদেশীয় ইউরোপ এবং আফ্রিকা ও এশিয়ার বেশ কিছু অঞ্চল দখল করে নিয়েছিল। কিন্তু অবশেষে মিত্র শক্তি বিজয় লাভ করে। ১৯৪৫ সালের মধ্যে জার্মানি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। হিটলারের রাজ্য জয় ও বর্ণবাদী আগ্রাসনের কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রাণ হারাতে হয়। ৬০ লক্ষ ইহুদিকে পরিকল্পনামাফিক হত্যা করা হয়। ইহুদি নিধনের এই ঘটনা ইতিহাসে হলোকস্ট নামে পরিচিত। ১৯৪৫ সালে যুদ্ধের শেষ দিনগুলোতে হিটলার বার্লিনেই ছিলেন। লাল ফৌজ যখন বার্লিন প্রায় দখল করে নিচ্ছিল সে রকম একটা সময়ে ইভা ব্রাউনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই তিনি ফিউরারবাংকারে সস্ত্রীক আত্মহত্যা

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ