মেকাট্রনিক্স বা তড়িৎযন্ত্র প্রকৌশলী সাবজেক্ট হলো ইন্জিনিয়ারিং এর একটি জনপ্রিয় শাখা। মেকাট্রনিক্স টেকনোলজি মেকানিক্যাল,ইলেকট্রিক্যাল ও কম্পিউটার সাইন্স সাবজেক্ট সমন্বয়ে গঠিত। মূলত যেকোনো মেকানিক্যাল ডিভাইসকে ইলেকট্রনিক্সের মাধ্যমে কন্ট্রোল করার বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা এ বিষয়ের মূল সারবস্তু। আর ঐই মেকানিক্যাল ডিভাইস ও ইলেকট্রনিক্স কন্ট্রোলের মধ্যে সংযোগ সাধন করে কম্পিউটার প্রেগামিং। 


মেকাট্রনিক্স এর আবিষ্কারঃ পৃথিবীতে মেকাট্রনিক্স টেকনোলজির আবিষ্কার প্রথমে করে জাপান। জাপানের প্রকৌশল Tetsuro Mori ১৯৬৯ সালে মেকাট্রনিক্স সম্পর্কে ধারণা দেন। এবং ১৯৭১ সালে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়। Tetsuro Mori ইয়াস্কাওয়া ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশনের প্রকৌশলী ছিলেন। মেকাট্রনিক্স শব্দটি জাপানের ট্রেড মার্ক হিসেবে 46-327-14 নাম্বার দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেছিল। পরে আস্তে আস্তে সারা বিশ্বে গ্ৰহণযোগ্যতা পায় মেকাট্রনিক্স টেকনোলজি। 


কি কি পড়ানো হবেঃ ১) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ২) ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং ৩) কন্ট্রোল সিস্টেম ৪) কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ৫) পিএলসি (প্রোগ্রামেবল লজিক কন্ট্রোল)। 


ব্যাবহারিক দিক ১. রোবটিক্স এবং অটোমোটিভ ইঞ্জিনিয়ারিং ২. কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত মেশিন ৩. অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, স্মার্ট ভিয়েকল ডিসাইন ৪. বায়ো-মেকানিক্যাল সিস্টেম, সাইবর্গ। ৫. আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ৬. মোবাইল ফোন অ্যাপ্লিকেশন ৭. স্মার্ট সিকিউরিটি সিস্টেম। 


মেকাট্রনিক্স টেকনোলজির ভবিষ্যৎঃ ভিশন ৪১ বাস্তবায়নে মেকাট্রনিক্স এর ভুমিকা হবে অপরিসীম। তখন মেকাট্রনিক্স টেকনোলজির শিক্ষার্থীদের পরিধি হবে দেশ ও আন্তর্জাতিক ব্যাপি। 


নেতৃত্বঃ মেকাট্রনিক্স টেকনোলজিকে এগিয়ে নিতে ও দেশব্যাপী পরিধি বৃদ্ধি করতে এবং মেকাট্রনিক্স টেকনোলজির শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে মেকাট্রনিক্স ইন্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর ভূমিকা অতুলনীয়।


 ✍️মোঃসালমান

মেকাট্রনিক্স টেকনোলজি,মাগুরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে