স্বপ্নে বৃষ্টির মধ্যে কোনো বৃদ্ধ লোককে বাটিতে করে অনেক ভাত দিতে দেখলে কি হয়? ইসলামিক ব্যাখ্যা চাচ্ছি
ক. স্বপ্নে খাওয়া নিয়মিত ঘটনা নয়। অনেকদিন পর পর দেখেন। দেখার পরেও তেমন কোন অনুভূতি হয় না। সাধারন স্বপ্নের মতই মনে হয়। শারিরিক ও মানসিক কোন সমস্যা নেই।
ঘরে/গায়ে যদি কোন তাবিজ থাকে তাহলে সঠিক নিয়মে নষ্ট করে ফেলা। ব্যবহারের জন্য তওবা করা।
কবীরা গুনাহে লিপ্ত থাকলে তওবা করে ফিরে আসা।
ফরজ ও মাসনুন আমল গুরুত্ব দিয়ে করা। মেয়দের জন্য পর্দা করাও ফরজ। মেয়েদের পিরিয়ড হলেও মাসনুন আমল বন্ধ না করা
বেশি বেশি দুআ’ করা আল্লাহর কাছে।
পাশাপাশিঃ
রুকইয়াহর আয়াত তেলাওয়াত করা। প্রতিদিন কমপক্ষে একবার। তেলাওয়াত করতে না পারলে (পিরিয়ড থাকলে, উচ্চারন শুদ্ধ না থাকলে) অডিও শোনা। প্রতিদিন কমপক্ষে ১ থেকে ১.৫ ঘন্টা।
এক বোতল (২ লিটারি) পানি নিন। এরপর সুরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসী, সুরা আরাফ (১১৭,১১৮,১১৯,১২০,১২১,১২২ নং আয়াত), সুরা ইউনুস (৮১, ৮২ নং আয়াত), সুরা ত্বহা (৬৯ নং আয়াত) কয়েকবার করে পড়ুন। এরপর সুরা ইখলাস, ফালাক, নাস কয়েকবার করে পড়ুন। সবগুলো পড়া শেষ হলে বোতলের পানিতে ফুঁ দিন। এই পানি প্রতিবেলায় আধ গ্লাস করে খাবেন। গোসলের পানিতে আধ গ্লাস করে মিশিয়ে গোসল করবেন প্রতিদিন।
স্বপ্নে খেতে দেখলে ঘুম ভাঙার সাথে সাথে উঠে আধ গ্লাস পড়া পানি খেয়ে নিবেন।
অনেক সময় রাতে মাসনুন আমল করে ঘুমালে স্বপ্নে খেতে দেখে না। কিন্তু ফজরের পর ঘুমালে খেতে দেখে। এমন হলে ফজরের পর ঘুমানোর আগে আবার মাসনুন আমল করে নিবেন।
পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে অডীও শুনতে অসুবিধা নেই। পড়া পানি শেষ হয়ে গেলে অন্য কেউ পড়ে দিবে। কাজেই সতর্কতা হল আগেই বেশি করে পানি রেডি করে ফেলা যেন পিরিয়ড শুরু হয়ে গেলে পানি শর্ট না পড়ে। নিজের জন্য নিজেই পানি রেডি করা উত্তম।