শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

‘আরাফার দিন’ বলতে ৯ জিলহজের কথা বলা হয়েছে। ৯ জিলহজকে ‘আরাফার দিন’ বলার তিনটি কারণ বিজ্ঞ আলেমরা উল্লেখ করেছেন। যথাঃ  ১) ইবরাহিম (আ.) ৮ জিলহজ রাতে স্বপ্ন দেখেছেন যে তিনি তাঁর একমাত্র পুত্রকে জবাই করছেন। কিন্তু স্বপ্নটির মর্ম সুস্পষ্টভাবে বুঝতে পারেননি, তাই চিন্তিত ছিলেন। এরপর ৯ জিলহজ পুনরায় ওই স্বপ্ন দেখার পর তার ব্যাখ্যা সুস্পষ্টরূপে বুঝতে ও চিনতে সক্ষম হন। ঘটনাটির স্মরণে ৯ জিলহজকে ‘আরাফার দিন’ বলা হয়। কেননা ‘আরাফা’ শব্দের অর্থ হলো, জানা ও চেনা ইত্যাদি। (তাফসিরে বাগাবি : ৭/৪৮) ২) জিবরাঈল (আ.) ৯ জিলহজ রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে হজের আমলগুলো বিস্তারিত জানিয়েছেন। ‘আরাফা’ শব্দের এক অর্থ হলো জানা, তাই ৯ জিলহজকে ‘আরাফার দিন’ বলা হয়। (আলবিনায়া ৪/২১১) ৩) এই দিনে হজযাত্রীরা হজের আমল হিসেবে ‘আরাফা’ প্রান্তরে অবস্থান করেন। (আল-ইনসাফ ৩/২৪৪) এ আলোচনায় স্পষ্ট হলো, ‘আরাফার দিনে’র নামকরণের একমাত্র কারণ ‘আরাফা’ প্রান্তরে অবস্থান নয়; বরং অন্য কারণও রয়েছে। তাই এই দিনকে সব দেশের ক্ষেত্রেও ‘আরাফা’য় অবস্থানের সঙ্গে নির্ধারিত করা ঠিক নয়। বরং ৯ জিলহজ হলো ‘আরাফার দিন’। এখন যে দেশে যেদিন জিলহজের ৯ তারিখ, ওই দেশের ‘আরাফার দিন’ সেটিই। হাজিদের ‘আরাফা’র ময়দানে অবস্থানের সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই। কেননা আগেই উল্লিখিত হয়েছে যে শুধু ‘আরাফা’য় অবস্থানের কারণে এটাকে ‘আরাফার দিন’ বলা হয় না। তাই দেশে দেশে অবস্থানরত মুসলিমরা নিজ নিজ দেশের তারিখ অনুসারে জিলহজের ৯ তারিখে রোজা রাখবে। আর এই রোজার সঙ্গে ‘আরাফা’র ময়দানের কোনো সম্পর্ক নেই। তাইতো হাজিদের জন্য হজ পালনের সুবিধার্থে ‘আরাফা’র রোজা না রাখা উত্তম। স্বয়ং রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ‘আরাফা’য় অবস্থানকালীন রোজা না রাখার বর্ণনা বিশুদ্ধ হাদিসে রয়েছে। (দেখুন বুখারি, হাদিস : ১৯৮৮)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ