শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

রাতকানা রোগ হয় ভিটমিন এ এর অভাবে । এজন্য সর্বপ্রথম রাতকানা রোগীর ভিটামিন এর অভাব পূরণ করতে হবে । ভিটামিন ‘এ’-র উৎসগুলো হচ্ছে । >> প্রানিজ উৎস :- ডিম, দুধ, মাখন, কলিজা, মাছ,মাছের তেল, মাংস ইত্যাদি। >> উদ্ভিজ উৎস : (ক) মিষ্টি কুমড়ো শাক, পুঁই শাক, পালং শাক, কলমি শাক, লাল শাক, কচু শাক, পাট শাক, মুলো শাক ,হেলেঞ্চা শাক, সজনে পাতা, মিষ্টি কুমড়ো, গাজর, মিষ্টি আলু, শালগম ইত্যাদি। (খ) পাকা আম, পাকা পেঁপে, পাকা কাঁঠাল ইত্যাদি। ভিটামিন ‘এ’ এর অভাব দূরীকরণে করণীয় শিশুকে জন্মের পরপরই মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে। শিশুকে ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে। শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ শাক সবজি/ডিম/মাছ/মাংস তেল দিয়ে নরম করে রান্না করে খাওয়াতে হবে ও হলুদ ফলমূল খেতে দিতে হবে। ৯ মাস বয়সে শিশুকে হামের টিকার সঙ্গে ভিটামিন ‘এ’ (১ লক্ষ আই ইউ) খাওয়াতে হবে। শিশুর ১৬ মাস বয়সে ভিটামিন ‘এ’ দ্বিতীয় ডোজ (২ লক্ষ আই ইউ) ডিপিটি/ ওপিভি বুস্টার ডোজের সঙ্গে খাওয়াতে হবে। তার পর ৬ মাস অন্তর ৫ বছর বয়স পর্যন্ত ভিটামিন ‘এ’ ডোজ খাইয়ে যেতে হবে। রাতকানা, দীর্ঘমেয়াদী ডায়েরিয়া, মারাত্মক অপুষ্টি ও হামের পর শিশুদের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন ‘এ’ দিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। প্রসূতি মা-কে সন্তান জন্মের ৬ সপ্তাহের মধ্যে (সম্ভব হলে জন্মের পরপরই) ভিটামিন ‘এ’ (২ লক্ষ আই.ইউ) খাওয়াতে হবে। গর্ভবতী ও প্রসূতি মাকে তার পুষ্টি ও শিশুর সুস্বাস্থ্যর জন্য বেশি করে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ সবুজ শাক সবজি, হলুদ ফলমূল,ডিম, মাছ, মাংস খেতে দিতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

রাতকানা রোগের ঔষধের নাম- Retinitis pigmentosa তথ্যসূত্রঃ www.ওষুধ.com/

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ