শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

কোরআনের বিভিন্ন স্থানে হজরত নূহ (আ.)-এর কাহিনী, তার সম্প্রদায়ের যারা তাকে অস্বীকার করেছিলো তাদের মহাপ্লাবন দ্বারা শাস্তি প্রদান ও আর যারা তার কথায় ঈমান এনেছিল তাদের নৌকায় আরোহণের মাধ্যমে কিভাবে মুক্তি পেয়েছেন- সে ব্যাপারে বর্ণনা প্রচুর বর্ণনা রয়েছে। পবিত্র কোরআনের ২৮টি সূরায় ৮১টি আয়াতে এসব আলোচনা রয়েছে। তিনি ৯৫০ বছর জীবিত ছিলেন। আল্লাহতায়ালার নির্দেশে প্রবল ঝড় ও বন্যার হাত থেকে তৎকালীন ঈমানদার মানুষ ও জীবজন্তুকে বাঁচানোর জন্য হজরত নূহ (আ.) একটি বৃহৎ নৌকা তৈরি করেছিলেন। এ ঘটনার পুরো বিবরণ রয়েছে বিভিন্ন আসমানি কিতাব ও হাদিস শরিফে। নৌকায় প্রত্যেক প্রজাতির পশু-পাখির জোড়া, হজরত নুহ (আ.)-এর অনুসারীরা উঠলে মহাপ্লাবন শুরু হয়। নৌকার আরোহীরা বাদে বাকি সবাই প্লাবনে ডুবে মারা যায়। ওই নৌকাটির দৈর্ঘ্য ছিল ১২শ’ গজ, প্রস্থ ছিল ৬শ’ গজ এবং এটি তিন তলা বিশিষ্ট ছিল। প্রথম তলায় গৃহপালিত ও হিংস্র জীব-জন্তু, দ্বিতীয় তলায় মানুষ এবং তৃতীয় তলায় ছিল পাখ- পাখালি। নৌকায় চল্লিশ জোড়া নারী-পুরুষ মিলে মোট আশিজন ছিল। তারা এতে ১২০ দিন অবস্থান করে। প্লাবনের পর নৌকাটি ‘জুদি’ পাহাড়ে গিয়ে নোঙর করে। স্থানটি বর্তমান ইরাকের মসুল নগরীর কাছাকাছি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ