শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

কল্যাণময় জীবন ব্যবস্থা ইসলাম। অকল্যাণের সঙ্গে এ জীবন ব্যবস্থার কোনো সম্পর্ক নেই। মানব সমাজকে সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের পথে চলতে উদ্বুদ্ধ করে ইসলাম। মানুষের জন্য অবমাননাকর কোনো কিছুই ইসলামে অনুমোদনযোগ্য নয়। মনুষ্যত্বের জন্য অবমাননাকর যৌতুক প্রথার কোনো ঠাঁই ইসলামে নেই। নারী নিগ্রহের এ প্রথা ইসলামী বিধানের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। ইসলাম নারীকে মর্যাদার আসন দিয়েছে। বিয়ের সময় স্ত্রীর কাছ থেকে যৌতুক নেওয়া নয় বরং স্ত্রীকে মোহর দেওয়ার জন্য বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছে। পবিত্র কোরআনের সূরা নিসার ৪ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করা হয়েছে তোমরা নারীদের তাদের মোহর, স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে প্রদান করবে। ইসলাম শুধু যৌতুক প্রথার বিরোধীই নয় বিয়েশাদির ক্ষেত্রে সব ধরনের অপচয়ের বিপক্ষে। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, সেই বিয়েই সর্বাধিক বরকতময়, যে বিয়েতে ব্যয় খুব সামান্যই হয়। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে বিয়ে করেছেন সাধারণভাবে, নিজের প্রিয় কন্যা হজরত ফাতেমা (রা.) কে বিয়ে দিয়েছেন একইভাবে। বিয়েতে অপব্যয় পাত্র-পাত্রীর পরিবারের জন্য কষ্টকর পরিণতি ডেকে আনে। সামাজিক সম্মান রক্ষার অজুহাতে অনেকে বিয়েতে মাত্রাতিরিক্ত ব্যয় করে দেউলিয়া হয়ে পড়ে। যা ইসলাম কোনোভাবেই অনুমোদন করে না। যৌতুককে শোষণ এবং নারী নিগ্রহের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয় আমাদের সমাজে। যৌতুক আদায়ের জন্য স্ত্রীর ওপর দৈহিক নির্যাতন চালানো এমনকি হত্যার ঘটনাও ঘটে। অথচ ইসলামের দৃষ্টিতে এ ধরনের অমানবিক আচরণ হারাম। আমাদের দেশের মুসলমানদের মধ্যে যৌতুক প্রথা বেশ জোরেশোরে প্রচলিত। এ দেশীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে যুগ যুগ ধরে প্রচলিত যৌতুক প্রথা মুসলিম সমাজকে এতটাই আক্রান্ত করেছে যে, আমাদের দেশে যৌতুক ছাড়া বিয়ে খুবই কম হয়। অথচ রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আমলে কিংবা পরবর্তীতে ইসলামী সমাজে কখনো যৌতুক চালু ছিল তার প্রমাণ পাওয়া যায় না। এ বিধান কোরআন হাদিসের পরিপন্থী বিধায় তা বর্জন করা মুসলমানদের কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ