শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

শিশুতোষ সাহিত্যের বৈশিষ্টঃ ১. শিশুতোষ সাহিত্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এতে কল্পনার ছোয়া থাকে। শিশুরা তাদের কল্পনাশক্তি থেকেই চিন্তা করতে শিখে। তার ভাষাকে সুসংবদ্ধ করে যা তার মনোজগতে সৌন্দর্যবোধ ও মানবিক মূল্যবোধ সৃষ্টি করে। ২. শিশু সাহিত্যে আকর্ষণীয় রঙ্গিন ছবি ও গল্প থাকে। রঙ্গিন ছবিই শিশুর মধ্যে গল্পের বিষয়বস্তু তুলে ধরে। তারা নতুন করে ভাবতে শিখে। ৩. শিশু সাহিত্যে বাক্যের পুনরাবৃত্তি থাকে এবং দ্বিরুক্ত শব্দের ব্যবহার বেশি থাকে। কেননা এতে শিশুমনে বাক্যের ও শব্দের গাঁথুনি শক্ত হয়। নতুন নতুন শব্দ শেখার মাধ্যমে তাদের মধ্যে শব্দ ভান্ডার বৃদ্ধি পায়।। ৪. শিশুতোষ সাহিত্য সাধারণত রূপকথা। অ্যাডভেঞ্চার – গল্প, জীবনী, হাসির গল্প, নৈতিক গল্প প্রভৃতি হয়ে থাকে। ছোট থেকেই শিশুরা সাহসী, রসপ্রিয় ও নীতিবান হিতে শেখে। ৫. এ সাহিত্যগুলোর মূল উদ্দেশ্য হলো শিশুদের লৌকিক ও পৌরানিক কাহিনীর সঙ্গে পরিচিত করা। ৬. এ সাহিত্য সাধারণত ছড়া বা পদ্য আকারে রচিত হয়ে থাকে যা শিশুদের খুবই প্রিয়। ৭. এ ধরনের সাহিত্যে অর্থের গভীরতার চেয়ে শিশুসুলভ সরলতাই বেশি প্রাধান্য পায়, যা তাদের মনের খোরাক জোগায়। ৮. শিশুমনে এ সাহিত্য সুরের ঝংকার তুলে। ৯. এ ধরনের সাহিত্যে হাস্যরসের প্রয়োগ ঘটানো হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ