আমরা যাকে বলি ঠান্ডা লাগা, তার লক্ষণগুলো হলো সর্দিজ্বর, গা ব্যথা, মাথা ব্যথা প্রভৃতি৷ যদি গুরুতর কিছু না হয়, তাহলে দু-চার দিনের মধ্যেই এ জ্বর ছেড়ে যায়৷ এ জ্বর সাধারণত ইনফ্লুয়েঞ্জা নামেই পরিচিত৷ শীতকালেই এ অসুখ বেশি হয়, যাকে সংক্ষেপে বলা হয় ফ্লু৷ এ জন্য শীতকালকে ফ্লু সিজন বলা হয়৷  মানুষের সাধারণ ধারণা, শীতকালে ঠান্ডার জন্যই ফ্লু হয়৷ আসলে ঠান্ডার জন্য যে ফ্লুয়ের আশঙ্কা বাড়ে, বিষয়টা সেরকম নয়৷ প্রায় ১০০ ধরনের রাইনোভাইরাস থেকে এ রোগ হতে পারে৷ সুতরাং সেই ভাইরাসের সংক্রমণ না ঘটলে ফ্লু হবে না৷  কিন্তু কথা হলো, শীতকালে এর প্রকোপ বেশি কেন?  এর একটি কারণ হতে পারে এই যে, শীতকালে মানুষ বেশির ভাগ সময় ঘরের ভেতর ঘেঁষাঘেঁষি করে থাকে৷ এতে একজনের রোগ আরেক জনকে সহজে আক্রান্ত করে৷ আবার এটাও হতে পারে যে, শীতকালে নাকের ভেতরটা বেশি শুকনো থাকে৷ যার ফলে বাতাসের জীবাণু সহজে ফুসফুসে চলে যায় এবং মানুষ রোগাক্রান্ত হয়৷  কোনো কোনো গবেষণায় দেখা গেছে, ইনফ্লুয়েঞ্জার জীবাণু ঠান্ডা ও শুকনো বাতাসে সহজে বাঁচে৷ তাই শীতকালে ফ্লুয়ের প্রকোপ বেড়ে যায়৷ সুতরাং শীতকালের ঠান্ডার জন্যই যে ঠান্ডা লেগে জ্বর এসে যাবে, তা সব সময় ঠিক নয়৷ তবে এটা ঠিক যে, বেশিক্ষণ ঠান্ডায় থাকলে বা ঠান্ডা বাতাসে হালকা কাপড়ে বেশিক্ষণ থাকলে শরীরের তাপমাত্রা নির্দিষ্ট মাত্রায় রাখতে গিয়ে দেহযন্ত্র হিমশিম খায়৷ শরীরে একটা ওলটপালট লাগে৷ এই নাজুক অবস্থায় ফ্লু ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়৷  তাই প্রধান শর্ত হলো বাতাসে ফ্লু ভাইরাস থাকতে হবে ৷ তাছাড়া শুধু শীতের জন্য সর্দি জ্বর হওয়া সম্ভব নয় ৷ 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ