আমাদের দেশে অনেক আলেম বলে থাকেন যে লজ্জাস্থানে মুখ দিলে মুখ অপবিত্র হয়ে যায় ৷ কেননা লজ্জাস্থান একটি অপবিত্র জায়গা৷ আমি মনে করি এটা কোরআন ও হাদিসের বাইরে কেবল একটা যুক্তি মাত্র। আর নিছক যুক্তি দিয়ে হারামের ফতুয়া দেয়া জায়েজ নেই। হারামের জন্য কোরআন বা হাদিসের দলিল লাগবে। তাছাড়া যুক্তিটাও গ্রহণযোগ্য নয়।  কারন হিসেবে যেটা বলা যায় তা হলো- এই যুক্তি মানলে আপনি শৌচ কাজ করতে পারবেন না। কারন বাম হাত দিয়ে পায়খানা পরিস্কার করার সময় আপনি লজ্জাস্থান নাড়তেছেন এবং তাতে হাত অপবিত্র হয়ে যাচ্ছে ৷ একইভাবে সেই প্রশ্ন আসবে- যেই হাতে কোরআন স্পর্শ করেছেন, যেই হাতে রেখে কোরআন পড়েছেন, যেই হাতে কোরআনের আয়াত লেখেছেন সেই হাত দ্বারা কিভাবে প্রশ্রাব পায়খানা পরিষ্কার করা যায়? বলবেন বাম হাতে। কিন্তু বাম হাতে আপনি কুরআন ধরেন না? অর্থাৎ যুক্তি মানা যাচ্ছে না।  গরুর ভুড়ি আপনি খুব মজা করে খান। ভুঁড়িতে গরুর পায়খানা থাকে। আর তা আপনি খান সেই মুখে যেই মুখে কুরআন তিলাওয়াত করেন। হুজুররাও এটা মজা করে খায়। তখন যুক্তি মাথায় আসে না। তাহলে বুঝা যাচ্ছে এসব যুক্তি অর্থহীন। কথা হলো ওরাল সেক্স অনেক প্রাচিন প্র্যাকটিস। এটা হারাম হলে কোরআন বা হাদিসে এর নিষেধাজ্ঞা আসত। যেমন নিষেধাজ্ঞা এসেছে এনাল সেক্সের ব্যাপারে। এটা খারাপ হলে আল্লাহ অথবা তার রাসুল স্পষ্ট করে নিষেধ করতেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ