শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

একজন পুরুষের প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে ওঠার বয়স সাধারণত ১৩ থেকে ১৪ বছর। অর্থাৎ এসময় তার শরীরে অনেক ধরনের পরিবর্তন ঘটে, যার মধ্যে একটি হচ্ছে দাড়ি গোঁফ ওঠা। এখানে পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরন প্রধান ভূমিকা পালন করে ৷ এ সময়ে মুখমন্ডলের লোমকূপে ডিহাইড্রোটেস্টোস্টেরন এর উদ্দীপনার কারণে পুরুষের মুখে দাড়ি গজায়। ডিহাইড্রোটেস্টোস্টেরন হরমোন টেস্টোস্টেরন হতে নিঃসৃত হয়, যার মাত্রা বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন হয়।  এই টেস্টোস্টেরন হরমোন সমস্যার কারণেই  অনেকের প্রকৃত বয়সের পরে দাড়ি গোঁফ গজায়। তবে অনেক ক্ষেত্রেই পারিবারিক বা বংশগত কারণে  দাড়ি-গোঁফ কারো কারো কম হয় বা দেরিতে ওঠে। সমাধান :  দাড়ির বৃদ্ধির জন্য মেনে চলুন এই ১১টি উপায়— ১। দাড়ি কাটার জন্য ছটফট করবেন না। চলতি ধারণা আছে, বার বার দাড়ি কাটলে দাড়ি ঘন হয়। এর কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। শুরুর দিকে দাড়ি যতটা বাড়ে, বাড়তে দিন। ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ পরে ছাঁটুন। ২। মুখের যত্ন নিন। ভাল করে ঘষে ত্বকের উপর থেকে মৃত কোষ দূর করার চেষ্টা করুন। এর ফলে নতুন দাড়ি গজানোর প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে। ৩। মুখের চামড়া পরিষ্কার রাখুন। অন্তত সকালে ও সন্ধ্যায় এক বার করে গরম জলে ভালো করে ধুয়ে নিন। ক্লিনজিং মিল্ক ব্যবহার করলে আরও ভাল। এর ফলে ছোট দাড়িগুলি বেরতে সুবিধে হবে। ৪। ইউক্যালিপটাস দেওয়া আছে, এই রকম ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে দ্রুত দাড়ি গজাবে। ৫। পেঁয়াজের রস মুখের উপর লাগালে দাড়ি বাড়তে সাহায্য করে। পেঁয়াজের মধ্যে থাকা সালফার এই কাজ করে থাকে। ৬। বিক্ষিপ্ত ভাবে কোঁকড়ানো দাড়ি থাকলে, তা কেটে ফেলুন। এগুলি সুষম ভাবে দাড়ি বৃদ্ধিতে সমস্যা তৈরি করে। ৭। সারাদিনে যথেষ্ট পরিমাণে বিশ্রাম নিন। তার ফলে ত্বকের ক্ষতিগ্রস্থ কোষগুলি সেরে উঠবে। দ্রুত দাড়ি গজাবে। ৮। স্ট্রেস কমান। শুনতে আশ্চর্য লাগলেও, বিজ্ঞানীরা বলছেন, চাপ কমলে বা রিল্যাক্সড থাকলে দাড়ি গজায় তাড়াতাড়ি। ৯। শরীরচর্চা করুন। তার ফলে মুখমণ্ডলে রক্ত-সঞ্চালন বাড়ে, যা দাড়ি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ১০। খাদ্য তালিকায় নিয়মিত ভিটামিন ও মিনারেল যুক্ত ফল এবং শাক-সব্জি রাখুন। ১১। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স দাড়ি বাড়ানোয় সাহায্য করে। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো নানা ধরনের হেল্থ সাপ্লিমেন্ট ও ভিটামিন খেয়েও দাড়ির বৃদ্ধি বাড়ানো যায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ