শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

গলব্লাডার বা পিত্তথলিতে পাথর বহু মানুষের হয়ে থাকে। সাধারণত চলিশোর্ধ নারীদের মধ্যে এ রোগ বেশি দেখা দেয়। বেশ কিছু কারণে পিত্তথলিতে পাথর হতে পারে ৷ আসুন জেনে নেই -  ১) খাবারে কোলেস্টরলের পরিমাণ বেশি থাকলে পিত্তথলিতে পাথর হয়।  ২) যেসব নারী হরমোন নেন বা নিয়মিত জন্মবিরতিকরণ পিল খান তাদেরও পিত্তথলিতে পাথর হয়।  ৩) বছরের পর বছর গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেলেও পিত্তথলিতে পাথর হতে পারে ।  ৪) গর্ভকালীন সময়ে ও গলব্লাডারে পাথর হওয়ার একটা কারণ। কেননা গর্ভধারন করলে চলাফেরা কম করা হয়। এর ফলে পিত্তথলির ফাংশন কিছুটা কমে যায়।  ৫) যারা শারীরিক পরিশ্রম কম করে থাকেন তারাই পিত্তথলির পাথর হওয়ার ঝুঁকিতে ভোগেন।  ৬) স্থুলকায় ব্যক্তিদের পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি । এজন্য দেখা যায় আমেরিকার দশ ভাগ লোক গলব্লাডারে পাথর নিয়ে চলছে।  ৭) পরিবারে কারো গলব্লাডারে পাথর হওয়ার ইতিহাস থাকলে অন্যদেরও পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।  ৮) শিশুর ক্ষেত্রে যদি রক্তে লোহিত কণিকা ভেঙ্গে যায় সেক্ষেত্রে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেশী হতে পারে।  চিকিৎসাঃ  ১) ঔষধ : পাথরের আকার ১৫ মি.মি. এর কম হলে, এক্সরেতে দেখা না গেলে, রোগীর স্থুলতা মাঝারি হলে এবং রোগীর উপসর্গ হালকা ধরণের হলে মেডিকেল চিকিৎসা প্রয়োগ করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে বাইল এসিড যেমন আরসোডিঅক্সিকোলিক এসিড দীর্ঘমেয়াদে মুখে খেতে হয়। এটি পাথরকে ভেঙে দ্রবীভূত করে।  ২) সার্জারি : পিত্তাশয় কেটে ফেলাকে  কোলেসিস্টেক্টোমি বলে। এটি দুই ভাবে করা হয়-  ক) ওপেন বা পেট কেটে এবং  খ) ল্যাপারস্কপির মাধ্যমে।  ল্যাপারস্কপির কিছু বাড়তি সুবিধা আছে যেমন পেট কাটার প্রয়োজন হয় না, হাসপাতালে রোগীকে বেশিদিন অবস্থান করতে হয় না, তাড়াতাড়ি ক্ষতস্থান শুকিয়ে যায় প্রভৃতি। অসুবিধাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কমন পিত্তনালীতে পাথর থাকলে তা বের করা যায়না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

পিত্তথলিতে পাথর হলো- পিত্তাশয়ে কোলেস্টেরল, পিত্ত লবণ ও বিলিরুবিনের সংমিশ্রনে গঠিত শক্ত সঞ্চিত পদার্থ। পিত্তথলিতে পাথরের মেডিকেল টার্ম হলো কলেলিথিয়াসিস। গলব্লাডার বা পিত্তথলি অপসারণের জন্য সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো কলেলিথিয়াসিস। . পিত্ত থলিতে পাথর হওয়ার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলি হলো- ১) বয়স – বেশি বয়স (বিশেষত ৬৫ বছরের পরে)। ২) পথ্য – পাশ্চাত্য খাদ্য উচ্চ শক্তি, উচ্চ চর্বি, উচ্চ মিহি কার্বোহাইড্রেট,  কম ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া। ৩) এনজাইম অপূর্ণতা – যেমন, সিকল সেল এনিমিয়া এবং কিছু অন্যান্য জেনেটিক পরিবর্তন। ৪) লিঙ্গ – স্ত্রীলিঙ্গ হরমোনের ভারসাম্যহীনতা – যেমন গর্ভাবস্থা বা ডায়াবেটিস এর ক্ষেত্রে। ঔষধ – ইস্ট্রজেন, ইনসুলিন, জন্মবিরতিকরণ বড়ি বা পিল, কোলেস্টাইরামিন। ৫) স্থূলতা – বিশেষ করে সর্বোচ্চ তাহলে BMI (বডি মাস ইন্ডেক্স) থাকলে। ৬) ওজন হ্রাস – দ্রুত ওজন হ্রাস, রোযা, বা ক্র্যাশ খাবার খেলে। ৭) পারিবারিক ইতিহাস – পরিবার ইতিহাসে পিত্তপাথর থাকলে ৮) নারী পুরুষে তারতম্য- পুরুষদের চেয়ে নারীদের পিত্তাসয়ের পাথর হওয়ার সম্ভাবণা দ্বিগুণ l

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ