জাত গেল জাত গেল বলে একি আজব কারখানা সত্য কাজে কেউ নয় রাজি সব দেখি তা না না না-এটি লালনের কোন ধরনের রচনা?

“সত্য একবার বলতে হয়; সত্য বারবার বললে মিথ্যার মতো শোনায়। মিথ্যা বারবার বলতে হয়; মিথ্যা বারবার বললে সত্য ৰলে মনে হয়" উক্তিটির লেখকের নাম হুমায়ূন আজাদ।

সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে,লালন বলে জাতের কি রূপ দেখলাম না এই নজরে- এই গানটি হলো, লালনের আত্মতত্ত্ব বিষয়ক গান।

লালনের অনেক অনুসারী লালনের গানসমূহকে আধ্যাত্মিক মতবাদের কালাম বলে অভিহিত করে থাকে।

গোপনে যে বেশ্যার ভাত খায় তাতে ধর্মের কী ক্ষতি হয় লালন বলে জাত কারে কয় এই ভ্রমও তো গেল না- এটি লালনের ধর্মতত্ত্ব বিষয়ক রচনা।

আট কুঠুরী নয় দরজা আঁটা মধ্যে মধ্যে ঝরকা কাঁটা,তার উপরে সদর কোঠা আয়না মহল তায়-এই গানটি লালনের দেহতত্ত্ব বিষয়ক রচনা।

লালনের বেশ কিছু রচনা থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে তিনি ধর্ম-গোত্র-বর্ণ-সম্প্রদায় সম্পর্কে অতীব সংবেদনশীল ছিলেন।

লালনের দর্শনে প্রভাবিত হয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ১১৫টি গান রচনা করেন।

ভারতের বিখ্যাত কথা সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় লালনের জীবনী নিয়ে রচনা করেন মনের মানুষ উপন্যাস

জাত গেলো জাত গেলো বলে- এ শিরোনামে গানটির রচিয়তার নাম হলো লালন শাহ্।

“যেকোনো অবস্থাতেই এই তিনটে জিনিসকে লোকানো কখনোই সম্ভব নয়, সেটা হলো- সূর্য,চন্দ্র এবং সত্য”-উক্তিটি গৌতম বুদ্ধের।