এককর্মক ক্রিয়া কাকে বলে?

কোনাে তড়িৎবাহীর প্রবাহের দিকের সাথে অভিলম্ব বরাবর একটি চৌম্বক ক্ষেত্র প্রয়ােগ করলে ঐ প্রবাহ ও চৌম্বক ক্ষেত্র উভয়ের অভিলম্ব অভিমুখে একটি বিভব পার্থক্য সৃষ্টি হয়। এ ক্রিয়াকে বলা হয় হল...

যথোপযুক্ত উচ্চ কম্পাঙ্কবিশিষ্ট আলোক রশ্মি কোনো ধাতবপৃষ্ঠে আপতিত হলে তা থেকে ইলেকট্রন নিঃসৃত হয়, এ ঘটনাকে ফটোইলেকট্রিক ক্রিয়া বা আলোক তড়িৎ ক্রিয়া বলে।

তরল বা বায়বীয় পদার্থে আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে নিমজ্জিত কোনো বস্তুর ওপর তরল বা গ্যাস লম্বভাবে যে ঊর্ধ্বমুখী বল ক্রিয়া করে তাকে প্লবতা বলে।

যে ক্রিয়াগুলি কর্ম ছাড়াই সম্পাদিত হয়, তাদের অকর্মক ক্রিয়া বলে।  অকর্মক ক্রিয়ার উদাহরণ   ছেলেটি হাঁটছে। মেয়েটি হাসছে। সবাই ঘুমোচ্ছে। ইত্যাদি।

নামধাতু থেকে উৎপন্ন ক্রিয়াকে নামধাতুজ ক্রিয়া বলে।  নামধাতুজ ক্রিয়ার উদাহরণ   চোরে আমার মানিব‍্যাগটা হাতিয়েছিল। সবাই মিলে তাকে ঠেঙাল। উত্তরিলা বিভীষণ। ছেলেটি ঘুমাচ্ছে। ইত্যাদি।

একটি বিশেষ‍্য বা বিশেষণের সাথে একটি ক্রিয়ার যোগে গঠিত ক্রিয়াকে যুক্ত ক্রিয়া বা সংযোগমূলক ক্রিয়া বলে। অন‍্যভাবে বলা যায় , যুক্ত ধাতু থেকে নিষ্পন্ন ক্রিয়াকে যুক্ত ক্রিয়া বলে।

ধ্বন‍্যাত্মক ধাতু থেকে উৎপন্ন ক্রিয়াকে ধ্বন‍্যাত্মক ক্রিয়া বলে। যেমন : ফোঁড়াটা টনটনাচ্ছে। হাতটা কনকনাচ্ছে। কান কটকটাচ্ছে। লোকটা ধুঁকছে। বাঘটা রাগে ফুঁসছে। টনটন, কনকন, কটকট, ধুঁক, ফুঁস ইত‍্যাদি ধ্বন‍্যাত্মক শব্দ উক্ত...

যে ক্রিয়াকে সব কালে (অর্থাৎ অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের সবকটি শ্রেণিবিভাগে) ব্যবহার করা যায় না, তাকে পঙ্গু ক্রিয়া বলে। বাংলায়  কয়েকটি মাত্র পঙ্গু ক্রিয়া আছে, এদের সাধারণত একটিমাত্র কালেই (সাধারণ...

কয়েকটি ক্রিয়া আছে যাদের কর্তা হয় না বা কর্তা নির্ণয় করা যায় না। তাদের অকর্তৃক ক্রিয়া বলে। যেমন: শীত করছে, লজ্জা লাগছে, খিদে পেয়েছে, মেঘ করেছে ইত্যাদি।

যেসব ক্রিয়াপদ মৌলিক ধাতুর সঙ্গে বিভক্তি বা প্রত্যয়যোগে গঠিত হয়, তাকে মৌলিক রিয়া বলে।