প্রথমে হাদীসটি এবং সে সম্পর্কে মুহাদ্দিসীনে কেরামের উক্তগুলো দেখে নেই- عَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ كَانَ لَهُ إِمَامٌ، فَقِرَاءَةُ الْإِمَامِ لَهُ قِرَاءَةٌ» হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, যার ইমাম রয়েছে, তার ইমামের কিরাত মানেই হল তার কিরাত। {মুয়াত্তা মালিক, হাদীসনং-১২৪, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৪৬৪৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৮৫০, তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-১২৯৪,মুজামে ইবনুল আরাবী, হাদীস নং-১৭৫৫,সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১২৩৩,মুসন্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-২৭৯৭,মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার, হাদীসনং-৩৭৬৪, সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী,হাদীস নং-২৮৯৭, মুসন্নাফ ইবনে আবীশাইবা, হাদীস নং-৩৭৭৯, মুসনাদে আবীহানীফা, হাদীস নং-২৫} হাদীসটির ক্ষেত্রে মুহাদ্দিসীনদের বক্তব্য- ১ আল্লামা ইবনে কাসীর রহঃ বলেন, এটি মারফুর চেয়েও অধিক সহীহ। {আলআহকামুল কাবীর-২/৪৭২} ২ আল্লামা বুসিরী রহঃ বলেন, এর সনদটি বুখারী মুসলিমের সনদের মতই সহীহ। {ইতহাফুল খাইরাতিল মাহরাহ-২/১৬৮} ৩ আল্লামা কামাল ইবনে হুমাম রহঃ বলেন, মুসলিমের শর্তানুপাতে এ হাদীসটির সনদ সহীহ। {শরহে ফাতহুল কাদীর-১/৩৪৬} ৪ আল্লামা সানআনি রহঃ বলেন, অনেক সূত্রে তা বর্ণিত। এটি গ্রহণ করা আবশ্যক। {আলইদ্দাতু আলাল আহকাম-২/২৬৮} ৫ আলবানী রহঃ বলেন, হাদীসটি হাসান। {সহীহ ইবনে মাজাহ, বর্ণনা নং-৬৯৯, সহীহুল জামে, বর্ণনা নং-৬৪৮৭} ৬ আলবানী রহঃ আরো বলেন, মুসনাদে আহমদ বিন মানী এর সনদ প্রমাণিত হলে এটি সহীহ ও মাউসূল, নতুবা সহীহ সনদের মুরসাল। আর তার অনেক তুরুক রয়েছে যার একটি অপরটিকে শক্তিশালী করেছে। {আসলু সিফাতিস সালাত-১/৩৫৫} ৭ আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী রহঃ বলেন, এর অনেক তুরুক রয়েছে, যার একটি অপরটিকে শক্তিশালী করেছে। {উমদাতুল কারী-৬/১৭} ৮ আল্লামা মোল্লা আলী কারী রহঃ বলেন, এর সনদ সহীহ। {শরহে মুসনাদে আবী হানীফা, বর্ণনা নং-৩০৮} ৯ আলবানী রহঃ এর লিখিত সিফাতি সালাতিন নাবী’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গ্রন্থের বাংলা অনুবাদ যা লা-মাযহাবীদের নিজস্ব প্রকাশনী তাওহীদ পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত হয়েছে। বাংলা নাম “রাসূল সাঃ এর সালাত আদায়ের পদ্ধতি” নামক বইয়ের ৮৫ নং পৃষ্ঠার শুরুতে উক্ত হাদীস এনে আলবানী সাহেবের যে টিকা লিখা হয়েছে, তাতে পরিস্কার লিখা হয়েছে “শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া উক্ত হাদীসকে শক্তিশালী বলেছেন। {রাসূল সাঃ এর সালাত আদায়ের পদ্ধতি, নাসীরুদ্দীন আলবানী কৃত, প্রকাশক-তাওহীদ পাবলিকেশন্স, পৃষ্ঠা-৮৫] পরিস্কার বুঝা গেল উপরোক্ত হাদীসটি সহীহ হাদীস। আর উক্ত সহীহ হাদীসের উপর ভিত্তি করে আমরা বলি ইমামের পিছনে কোন কিরাত পড়বে না। চাই তা সূরা ফাতিহা হোক বা অন্য কোন সূরা। অথচ একাকি নামায পড়লে সূরা ফাতিহা না পড়লেও নামায পূর্ণ হয় না, তেমনি সূরা ফাতিহার পর অন্য সূরা না মিলালেও নামায পূর্ণ হয় না। কুরআনে কারীমে এসেছে- وَإِذَا قُرِئَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُوا لَهُ وَأَنصِتُوا لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ [٧:٢٠٤ আর যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন তা শ্রবণ কর এবং নিশ্চুপ থাক যাতে তোমাদের উপর রহমত হয়। {সূরা আরাফ-২০৪} আশা করি বুঝেছেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ