শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

মােট সুদের মধ্যে চারটি উপাদান থাকে: ক. নীট বা বিশুদ্ধ সুদ : মূলধন যা ঋণ হিসাবে নেওয়া হয়, সেই মূলধনের আর্থিক মূল্য কেবল হিসাব করে যে অর্থ প্রদান করতে হয়, তা হলাে বিশুদ্ধ সুদ। খ. ঝুঁকি বহনের বীমা : ঋণ দাতা যখন ঋণ দেয়, তখন সে ঝুঁকি নেয়। কাজেই ঝুঁকির কারণে ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে ঋণদাতা বিশুদ্ধ সুদের চেয়ে বাড়তি কিছু প্রাপ্তি গ্রহণ করে। এই বাড়তি প্রাপ্তি মােট সুদের অন্তর্ভুক্ত হয়। গ. ঋণ আদায় সংক্রান্ত অসুবিধার বিনিময় মূল্য : ঋণ দাতা ঋণ দেওয়ার কারণে কিছু কিছু অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারে। যেমন, কাউকে ৫ বছরের জন্য ঋণ দিলে সেই সময়ের আগে তার অর্থ প্রয়ােজন পড়লেও ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে তা ফেরৎ পায় না। কাজেই একবার ঋণ দিলে তাকে বেশ কিছু সময়ের জন্য অসুবিধায় থাকতে হয়। সেই অসুবিধার মূল্য হিসাবে কিছু অর্থ প্রাপ্তি মােট সুদের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। ঘ. ব্যবস্থাপনার পুরস্কার : প্রত্যেক ঋণ দাতাকে ঋণের ব্যবস্থা করতে গিয়ে কিছু ব্যয়ভার বহন করতে হয়। যেমন– তার হিসাবের খাতা রাখতে হয়, সময় দিতে হয় এবং ঋণ গ্রহীতার দুয়ারেও তাকে ঘুরতে হয়। এসব কারণে বিশুদ্ধ বা নীট সুদের উপরে আরাে কিছু অর্থ প্রাপ্তি ঋণ দাতা আশা করে। সুতরাং ব্যবস্থাপনার পুরস্কার হিসাবে কিছু অর্থ প্রাপ্তি মােট সুদে অন্তর্ভুক্ত হয়। কাজেই মােট সুদ বলতে নীট বা বিশুদ্ধ সুদসহ পারিশ্রমিক হিসাবে দাবীকৃত বাড়তি অর্থ– এসবের সমন্বিত প্রাপ্তি বুঝানাে হয়। এভাবে বলা যায় যে, নীট বা বিশুদ্ধ সুদসহ ঋণ দাতার আনুষঙ্গিক ব্যয় বাবদ প্রত্যাশিত প্রাপ্তিকে মােট সুদ বলে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ