শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

টাইর সূচনা শূলের প্রতীক হিসাবে হয়েছে কিনা, এ নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষের বক্তব্য ও তাহকিক-গবেষণা এতটাই দুবোধ্য ও প্রান্তিকতাপুষ্ট যে, একে যেমনিভাবে নিশ্চিতভাবে শূলের প্রতীক বলা মুশকিল,অনুরূপভাবে  ‘শূলের প্রতীক নয়’ এটাও নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। তবে অকাট্য তথ্যপ্রমাণপুষ্ট না হলেও এটি শূলের প্রতীক হিসাবে এতটাই জনশ্রুতি আছে যে,তা সত্য হওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল।  যদি সত্য হয় তাহলে বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুকরণ শরীয়তের দৃষ্টিতে অত্যন্ত ঘৃণিত। হাদীস শরীফে এসেছে-‘যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে সামঞ্জস্য রাখে সে তাদের দলভুক্ত।’ (সুনানে আবু দাউদ ২/৫৫৯) কিন্তু যেহেতু বিষয়টি অকাট্য তথ্যপ্রমাণপুষ্ট নয় ; উপরন্তু বিধর্মীদের সাদৃশ্যতা গ্রহনের ইচ্ছা ব্যতিরেকেই এর ব্যাপক প্রচলন হয়ে পড়েছে তাই মুফতীগণ বলেন, এটা পরা একেবারে হারাম তো বলা যাবেনা তবে সন্দেহযুক্ত বিধায় মাকরূহ হবে। তাই এর ব্যবহার এড়িয়ে চলা কর্তব্য। (ফাতাওয়া মাহমুদিয়া১২/৪০৮) হযরত নু;মান ইবনে বাশীর (রা) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: হালাল বা বৈধ সুস্পষ্ট এবং হারাম বা অবৈধও স্পষ্ঠ আর এ দু’এর মধ্যবর্তী বিষয়গুলো হলো সন্দেহজনক। আর বেশীরভাগ লোকই সেগুলো (সম্পর্কে সঠিক পরিচয়) জানে না। অতএব যে ব্যক্তি ঐ সন্দেহজনক জিনিসিগুলোকে পরিহার করলো সে তার দ্বীন ও মান-সম্মানকে পবিত্র রাখলো। আর যে ব্যক্তি সন্দেহজনক জিনিসে জড়িয়ে পড়লো সে হারামের মধ্যে পড়ে গেল।(বুখারী,মুসলিম)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ