বিমানের ফ্লাইটে থাকা অবস্থায় মোবাইল এয়ারপ্লেন মোডে রাখতে বলা হয়। কারণ- মোবাইলের সিগন্যাল ভূমিতে নেটওয়ার্কে জ্যাম সৃষ্টি করতে পারে। দ্রুত ভ্রমণের সময় এবং তা ১০ হাজার ফুটের বেশি হলে ফোনের সিগন্যাল বিভিন্ন টাওয়ারে যোগাযোগের চেষ্টা করে এবং শক্তিশালী সিগন্যাল প্রেরণ করে কারণ টাওয়ার থেকে দূর্বল সিগন্যাল পায়।মূলত, আপনার মোবাইল সবসময় নেটওয়ার্কে থাকতে বিভিন্ন মোবাইল টাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে চায়, এমনকি টাওয়ার দূরবর্তী স্থানে থাকলেও মোবাইল সিগন্যাল বৃদ্ধি করতে চেষ্টা করে যাতে টাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ অক্ষুন্ন থাকে। ফলে যখনই মোবাইল ফনের সিগন্যাল তার টাওয়ারের সাথে কানেকশন করতে চাই। ঠিক সেই সময়্ম ‘কোঁ-কোঁ’ শব্দ হতে পারে পাইলটের সাউন্ড সিস্টেমে। যদিও সাধারণ যাত্রীদের ফোন খোলা থাকলে তেমন সমস্যা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কেননা তারা ককপিটে যান না। কোনো অডিও সিস্টেম থেকে অপ্রীতিকর শব্দ হয়তো আপনি শুনেছেন যখন সেই অডিও সিস্টেমের পাশে মোবাইল ছিল। যেমন টিভির পাশে মোবাইল ফোন থাকলে দেখা যায়, ফোন আসলে টেলিভিশনের অডিও সিস্টেম থেকে বাজে একটা শব্দ শোনা যায়। কারণ ফোনের রেডিয়েশন অনেক সময় শক্তিশালী হতে পারে এবং তা ৮ ওয়াট পর্যন্ত। সুতরাং এবার একটু কল্পনা করুন তো, বিমানবন্দর থেকে একটি জরুরি বার্তার সময় মোবাইলের রেডিয়েশনের কারণে বিমানচালকের হেডসেটে সেই বাজে শব্দ সৃষ্টির বিষয়টি। এই বাজে শব্দ নিয়ে আরো কল্পনা করুন যে, সেই শব্দ যদি ১০০ যাত্রীর মোবাইল থেকে সৃষ্টি হতে থাকে। আপনি ভাবতে পারেন, তাহলে তা বিমানচালকের হেডসেটে কতটা বিরক্তিকর হতে পারে। এছারা প্রধান সমস্যা যেটি সেটি হল মোবাইলের টাওয়ারের থেকে নিঃসৃত সিগন্যাল ,এয়ারপ্লেনের সিগন্যালকে বিঘ্ন ঘটাতে পারে যার ফলে ছোট বড় বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে বিমান। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ, যার জন্যে আপনি মোবাইল এয়ারপ্লেন মোডে রাখবেন, সেটি হচ্ছে বিমানচালককে বিরক্ত করতে চান না। তাই আপনার উচিত ফোন এয়ারপ্লেন অপশন অন রেখে, বিমানের চালকদের তাদের কাজটা ঠিকঠাক করতে দেওয়া।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ