ঈদ প্রায় এসেই গেল। প্রিয় পাঠিকা (লেডিস ফার্স্ট বলে একটা কথা আছে। তাই পাঠিকা দিয়েই শুরু করলাম) এবং পাঠক, মাথা ঠান্ডা রেখে আমাদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। যদিও টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া কিংবা রাজধানীর উত্তরা থেকে মান্ডা- গরমে মাথা ঠান্ডা রাখার উপায় কোথাও নেই! যে মাত্রায় গরম পড়ছে তাতে মাথা নরম রাখতে গেলে চরম ধৈর্যের প্রয়োজন। তবুও বলি, মাথা ঠান্ডা রেখেই আমাদের ঈদ শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন।


যদিও নিন্দুকের দল বলেন, দুর্মূল্যের বাজারে আজকাল কিছুই আর বিনা মূল্যে পাওয়ার জো নেই! কথাটা বোধহয় সম্পূর্ণ ঠিক না। বিনামূল্যে আমরা অনেক কিছুই পাই। এই যেমন বিচ্ছু আপনাদের বিনামূল্যেই ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। এর জন্য আমরা আপনাদের কাছে বাড়তি কোনো টাকা-পয়সা চাই না। আশা করি, আমাদের শুভেচ্ছাটুকু আপনারা বিনামূল্যেই গ্রহণ করবেন। অবশ্য বিচ্ছু পড়তে হলে দশ টাকার মায়া ত্যাগ করে আপনাদের রোববারের যুগান্তর কিনতে হবে। দশ টাকার মায়াই তো কেবল! স্বয়ং জীবনের মায়া ত্যাগ করে এ মহামারির মধ্যেও তো সর্বত্র ঘুরে বেড়াচ্ছি আমরা। আড্ডা দিচ্ছি; চা-পানি পান করছি; নতুন পোশাক কিনছি; বাড়ি যাচ্ছি- মোদ্দাকথা, যা ইচ্ছে মোটামুটি তার সবই করছি। সুতরাং দশ টাকার মায়াও আশা করি ত্যাগ করতে পারব আমরা। কী বলেন!


ঈদ সামনে রেখে অনেকে এর মধ্যে বাড়ির পথ ধরেছেন। যদিও এবার বাড়ি যাওয়া ঠেকাতে গণপরিবহণ বন্ধ রেখেছে সরকার। কিন্তু জীবনের ভালো-মন্দ হিসাব না করেই তবুও নানা কায়দায় এবং বেকায়দায় বাড়ির দিকে ছুটছি আমরা। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেও কেন ছুটছি, এ নিয়ে প্রশ্ন করবেন না। কারণ প্রশ্ন করলেও উত্তর পাবেন না। উত্তর পেলেও সেটা পছন্দ হবে না। আবার আপনার পছন্দ হলেও আরেকজনের হয়তো পছন্দ হবে না। আর সবার পছন্দ হবে, এমন উত্তর বোধহয় দুনিয়াতে এখনও পয়দা হয়নি!


আরেকটা কথা, ঈদে খাবার একটু কম করে খাবেন। অবশ্য খাবেনই বা কী! প্রায় সবকিছুতেই তো ভেজাল। মানে ফরমালিন বা কেমিক্যাল! সুতরাং এসব ফরমালিন বা কেমিক্যাল যত কম খাবেন, ততই ভালো। এতসব ভেজালের ভিড়ে নির্ভেজাল থাকার চেষ্টা করুন। অহেতুক আস্ক না করে মাস্ক পরুন। যতটা সম্ভব ভিড় এড়িয়ে নীড়ে থাকার চেষ্টা করুন। আর কী! আবারও ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।



শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে