আলীমুশ্বান সাইমুন ধর্ম প্রচারক ও লেখক এবং আধুনিক বাংলা সাহিত্যের একজন কবি।( জম্ন ০২ জানুয়ারি ১৯৯৭) বরগুনা জেলার বেতাগী থানার বিষখালি নদীর তীরে ভোড়া বেতমোর গ্রামে এক সমভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জম্ন গ্রহন করেন। তিনি একাধারে কবি, ইসলামীক লেখক, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্প, শিশুসাহিত্যিক, সংগীতজ্ঞ, সাংবাদিক, সম্পাদক, ইসলামী সঙ্গীত শিল্পী। মাত্র ২০ বছর বয়সে তার কবিতা " আহ্বান " কাব্য ও কবিতা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। লেখক এর ছদ্দ নাম বাংঙ্গালি কবি সাইমুন খান এ নামেও তিনি কবিতা লিখতেন। তার দাদা ছিলেন আব্দুর রশিদ হাওলাদার একজন সমাজ সেবক এবং গনমান্য ব্যক্তি। পিতা মাওলানা মোশারেফ হোসেন ডেমা গুলিশাখালী বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার( অধ্যক্ষ) এবং মাতা সাহানা শিরিন তালুকদার ( বি এ ) এক জন সরকারি চাকরি জীবি ( শিক্ষিকা ) নানা ছিলেন আশ্বেক তালুকদার। তৎকালীন বৃর্টিশ ও পাকিস্তান আমলের একজন সমাজ সেবক এবং এক জন মুক্তিযোদ্ধা ১৯৭১ সালে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে যুদ্ধ করেন তার কারনে বেচে গিয়েছিল বরগুনা পাথরঘাটার সতকর এলাকার অনেক হিন্দু পরিবার। আলীমুশ্বান সাইমুন শৈশবে ভর্তি হন বাড়ির পাশে দক্ষিন বেতমোর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। এখানে থেকে ৫ম শ্রেণীতে কৃতিত্বর সাথে পাশ করেন। এর পর কবি ভর্তি হন বরগুনা জিলা স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে। ২০১২ সালে বরগুনা জেলা স্কুল থেকে ম্যাট্টিক পাশ করেন এবং প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ২০১২ সালে ভর্তি হন বরিশাল এর ইনফ্রা পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউট এ ডিপ্লোমা মেরিন ইন্জিনিয়ারিং এ। ৪র্থ সেমিস্টার পরিক্ষার মাত্র ৪ দিন বাকী। কবি রাজনৈতিক একটি দলের সাথে জড়িত থাকায়। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় কবির পড়াশুনা ২০১৪ সালে বন্ধ হয়ে যায়। হতাশায় পড়ে যান কবি। তবুও আশাহত না হয়ে, তার প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন মাটি চাপা দিয়ে নতুন করে ভিন্ন ভাবে শিক্ষা জীবন শুরু করেন।বরিশাল ছেড়ে চলে যান খুলনা শহরে। ২০১৪ সালে খুলনা সোহরাওয়ার্দী কলেজে ভর্তি হন। ২০১৬ সালে এইচ এস সি পাশ করে এর পর ২০১৬ সালে খুলনা বি এল কলেজ থেকে বি এস এস ( সম্মান) পাশ করেন। বর্তমানে মাস্টাস এ অধ্যয়ন রত। আলীমুশ্বান সাইমুন একজন ব্যবসায়ী। ছাত্র অবস্থায় থাকার সময় থেকেই তিনি ব্যবসা শুরু করেন খুলনাতে। ঢাকা থেকে কুরিয়ার এর মাধ্যমে পাইকারীতে কসমেটিক্স,কাপড়, খাবার এর আইটেম নিতেন এবং নিজেই অর্ডার কাটতেন দোকানে দোকানে গিয়ে। আবার পন্য নিজেই সাইকেল এ করে অর্ডার কাটা দোকান গুলোতে ডেলিভারি দিয়ে আসতেন। এর পর ঢাকাতে আসার পর টুকটাক ব্যবসা করেন। পল্টনের আজাদ প্রডাক্টস এর সামনে ফুটপাতে ৬ মাস ইলেকট্রিক পন্য বিক্রি করেন। আজাদ প্রডাক্টস এর সামনে ফুটপাতে একটা সময় আর দাড়াতে দেয় নি আজাদ প্রডাক্টস এর কর্তৃপক্ষ। বাধ্য হয়ে গুটাতে হয় ফুটপাতের ব্যবসা না। রতন নামের এক জন পার্টনার কে নিজে আজকের ডিল, দারাজ, ইভ্যালি তে মার্চেন্ট একাউন্ট খুলে অনলাইনে ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তুু একটা সময় রতন এ ব্যবসায় বেইমানী করে আলাদা ভাবে একা বিজনেস শুরু করে। পার্টনারশিপ ব্যবসা ওখানেই শেষ হয়। আর্থিকভাবে কবি আলীমুশ্বান সাইমুন অনেক ভেঙ্গে পরেন। ঢাকাতে টিকে থাকা তার জন্য কষ্ট হয়ে যায়। উপায় না পেয়ে মটর সাইকেল এর প্রশিক্ষণ নেন। কেননা তখন ঢাকাত বাইকে রাইড শেয়ারিং টা বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র, বেকার শিক্ষিত যুবকরা পাঠাও, উবার,ওবাই,সহজ কম্পানি গুলোর মাধ্যমে রাইডিং করে বেকারত্ব দূর করছে । বাইক চালানো শিখে পরিচিত এক বন্ধুর কাছ থেকে একটি মটর সাইকেল ৩৫০ টাকা প্রতিদিন ভাড়া বাবদ নেন এবং রাইড শেয়ারিং শুরু করেন ২০১৭ সালে। কিছু দিন পর আলীমুশ্বান সাইমুন তার বাবাকে বলে একটা মটর সাইকেল নিজে ক্রয় করে রাইডিং করেন প্রায় ১৫ মাস জাবত। পরে আবার নতুন ভাবে ব্যবসা শুরু করেন। তিনি প্রতিষ্ঠা করে ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর চালু করেন অনলাইন মার্কেট প্লেস। "আলিফ লায়লা™ Aliflaila.com.bd™ ঘরে বসেই মোবাইলের মাধ্যমে যে কেউই অর্ডার করতে পারেন। এর পাশা পাশি edak.com.bd ( ই-ডাক কুরিয়ার) নামে একটি পন্য ডেলিভারি প্রতিষ্ঠান চালু করেন। এছাড়াও পরিচালনা করেন" দ্বীনের দায়ী TV একটি অনলাইন টিভি চ্যানেল এবং INN ( ইন্টারন্যাশনাল নিউজ নেটওয়ার্ক ) নামে একটি অনলাইন নিউজ পেপার। মুসলিম পরিবারে জম্ন পড়াশুনা বাংলা লাইনে তাই ইসলামের আলিঙ্গন থেকে বেশে কিছুটা দূরে ছিলেন শুধু নামাজ আর রোজার মধ্য সীমাবদ্ধ ছিলেন। পরবর্তীতে ২০১২ সালে তাবলিগ জামাত এর সাথি হয়ে ৪১ দিন অর্থাৎ তাবলিক এর ভাষায় এক চিল্লা দেন। তখন থেকেই ইসলামিক পরিপূর্ণ ভাবে প্রবেশ করেন। এবং ইসলামের দাওয়া দিতে থাকেন। ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে থাকা অবস্থায় বরগুনা জিলা স্কুলের স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানে কবিতা লেখার প্রতিযোগিতায় " শ্রেষ্ঠ মানুষ " কবিতার মাধ্যমে সাহিত্য সুচনা হয়। লেখক আলীমুশ্বান সাইমুন স্কুল জীবনে স্কাউট এর সাথে জড়িত ছিলেন ৫ বছর। কলেজ লাইফে বি এন সি সি ক্যাডেট এ ছিলেন ২ বছর। ২০১৪ সালে খুলনা তে প্রথম আলো বন্ধু সভায় যোগ দেন নানা রকম সামাজিক কর্মকাণ্ড সাথে জড়িত ছিলেন। খুলনা নাট্য নিকেতন এ অভিনয় করে বহু বছর। বরিশাল থিয়েটার এর মাধ্যমে মঞ্চ নাটকে পথ চলা শুরু করেন এর খুলনা থাকা অবস্থায় নাটকে অভিনয় করেছেন খুলনা নাট্য নিকেতন এ। খুলনা নাট্য নিকেতন এর সদস্য এবং খুলনা শিল্পকলা একাডেমীর সদস্য তিনি । নুরুল ইসলাম বিপ্লব পরিচালিত "প্রেম অন্ধ মানে না ভালো মন্ধ " টেলিফিল্ম এ অবিনয় করেন ২০১৬ সালে মুক্তি পায়। এছাড়াও "জান্নাত " সিনেমায় মিশা সওদাগর এর অনুশারী হিসাবে অভিনয় করেন ২০১৮ সালে মুক্তি পায়। মঞ্চ নাটক করেন : মরা (২০১৪), একাত্তরের ভালবাসা (২০১৫), শাস্তি ( ২০১৬), মেরাজ ফকিরের মা (২০১৬),চারদিকে যুদ্ধ (২০১৬), ইদানীং তিনি ভদ্রলোক (২০১৭), অগ্নিগিরি (২০১৮), আগুনের ফুল (২০১৯) ধর্ম প্রচারক আলীমুশ্বান সাইমুন এর রচিয়ত ইসলামিক বই গুলো হলো ১.সিরাতাল মুস্তাকিম, ২. সর্ব শ্রেষ্ঠ নেতা, ৩.কোরআন এবং সুন্নাহর আলোকে জিবন, ৪. জান্নাত এবং জাহান্নাম, ৫.পৃথিবী কেন সৃষ্টি হল, ৬.সৃষ্টিকর্তা, ৭.নাস্তিক বনাম ইসলাম, ৮.কেয়ামত, ৯.ইসলাম এবং ইসলামের দুষমন কবি অনেক ইসলামিক সঙ্গীত ও রচনা করেন। তার উল্লেখযোগ্য কবিতা গুলো হলো ১.শ্রেষ্ঠ মানব, ২. আহব্বান, ৩. মা, ৪.আত্ন হিসাব, ৫.নির্বোধ জাতি, ৬.স্বাধীনতার মানে কি, ৭.আজও মনে পড়ে, ৮. ক্যান্সার, ৯.কিশোর বেলা, ১০.শিক্ষাঙ্গন, তার কাব্যগ্রন্থ হলো "নির্বোধ জাতি" লেখক ছোট গল্পও লিখেছেন তা হলো ১.নীল কন্যা, ২.অবুজ ভালবাসা, ৩.আখি আর ফিরলো না, তার লেখা উপন্যাস হলো ১.প্রমি, ২.রহস্যময় নারী, তার লেখা নাটক হল ১.কান্না, ২.চৌকিদার, আলীমুশ্বান সাইমুন অনেক সঙ্গীত ও রচনা করেন ♪ বহুৎ বড় হে আমার মা, ♪ আমি ছন্ন ছারাই,ঘুরি ফিরি খাই, ♪ ওগো কন্যা, তুমি আর তাকাইয়ো না, ♪ সেই রেল লাইনের ধারে, নন্দলালের.., ♪ দূরে আছি বলে তুমি ভুলে যেও না, ♪ যদি ভুল বুঝে দূরে সরে যাও, ♪ খোলা জানালার পাশে বসছি, আলীমুশ্বান সাইমুন এর লেখা গল্প গুলো ১.বিড়াল, ২.ভংয়কর নারী, ৩.মৃত্যু পুরী, তার ভ্রমন কাহিনী গুলো হলো ১.কাবার পথে, ২.পাহাড়ের দেশে, ৩.কিছুটা সময় নীল সাগরের তীরে, ৪.কোন একদিন দারুচিনির দীপে,


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে