যুক্তিসহ বলবেন। 


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

কোনো দেশে একাধিক ফল থাকলেও এমন একটি ফলকে জাতীয় ফল হিসেবে নির্ধারণ করা হয় যেটির সঙ্গে ওই দেশের সংস্কৃতির যোগ আছে। এ ছাড়া আরও কিছু বিষয় থাকে জাতীয় ফল নির্ণয়ের ক্ষেত্রে। যেমন ফলটি স্থানীয়ভাবে সব স্থানেই পাওয়া যাবে। এসব বিষয় মাথায় রেখে একেক দেশে একেক ধরনের জাতীয় ফল নির্ধারণ করা হয়। একটি জাতির হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে একটি ফলের যোগসূত্র থাকলে সেই ফল ওই অঞ্চলের মানুষের জাতীয় ফল হয়ে ওঠে। অনেকের মতে, এই কাঁঠালের আদিনিবাস বাংলাদেশ ও আশপাশের অঞ্চলে। কাঁঠালকে জাতীয় ফলের মর্যাদা দেওয়ার ক্ষেত্রে এই ফলের উপকারিতা ও পুষ্টিমানের কথাও বিবেচনা করা হয়েছে। শুধু মানুষই নয়, গবাদিখাদ্য হিসেবেও কাঁঠালের জুড়ি নেই। এই ফল বিভিন্ন রোগের দাওয়াই হিসেবেও কাজ করে। বাংলাদেশে ফলটির বাণিজ্যিক গুরুত্বও আছে।কাঁঠাল এ দেশে খুবই সুপ্রাপ্য, দেশের সব জায়গাতেই এই ফল পাওয়া যায়। এর ব্যবহার বহুমুখী। এটি কাঁচা-পাকা দু’অবস্থাতেই খাওয়া যায় এটি। কাঁচা অবস্থায় এটি এঁচোড় নামক সবজি, আবার পাকলে হয়ে যায় সুস্বাদু ফল। কাঁঠাল অনেকের কাছে অপছন্দের হলেও এটি খুবই উপকারী একটি ফল। এতে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম সহ বিভিন্ন খনিজ উপাদান রয়েছে, আছে ভিটামিন সি ও বি৬। বদ হজম, কোষ্ঠ্যকাঠিন্য, উচ্চ রক্তচাপ দূর করে ফলটি। কাঁঠাল গাছের শেকড় হাঁপানি দূর করে। আর কাঁঠাল গাছের কাঠ আসবাব শিল্পে সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন কাঠগুলোর একটি

এসব বিবেচনা করে কাঁঠালকে দেশের জাতীয় ফলের মর্যাদা দেওউয়া হয়

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ