ছোট্ট সময় মাকে দেখতাম উড়তে‌।ডানা মেলে উড়া।ডানায় ছটছট শব্দ।মাঝে মাঝে আমার ঘুমও ভেঙে যেত।চেয়ে থাকতাম মায়ের দিকে,মা কিভাবে উড়ে।আমিও মাকে অনুসরন করতে শুরু করেছি।উড়ার মজাইতো দেখি আলাদা।সারাদিন বন্ধুদের সাথে উড়ে উড়ে খেলা করতাম।দূর আকাশে হারিয়ে যাওয়া আবার ফুস ফুস করে ফিরে আসা।সারাটাদিন শুধু উড়তেই মনে চাইত।স্বাধীন ভাবে উড়া।যে খাবার পেতাম তাতেই শান্তি ছিল।হঠাৎ একদিন আমার ছোট্ট জীবনে এক কালো মেঘের ছায়া পড়ল।আমার এই ডানা দুটোকে শরীরের সাথে মিলিয়ে দিল মানুষ নামের এক প্রানী।শিকল দিয়ে গড়া এক খাঁচায় বন্দী করে দিল।খাবার দিত,পরিচর্যা করত।শুধু দেখতে দিত না ওই সুন্দর আকাশ,ডানা মিলে হারিয়ে যেতে দিত না দূর দূরান্তে।আমার স্বাধীনতার অধিকার দিত না।পরাধীনতার ভয়ংকর গ্রাসে আমি বন্দি।এই জীবন আমি চাইনা।দয়া করে মুক্তি দাও।মুক্তি দাও।আবার উড়তে দাও দূর দূরান্তের নীল আকাশে।আর কাঁদিয়ো না আমাকে।একটু খাঁচার মুখটা খুলে দাও।আর বল সেই গান-

পাখিরে তুই উড়ে চলে যারে খাঁচা ভেঙ্গে

লোহার খাঁচা ভেঙ্গে ফেল

মানুষ যেমন বন্দি হয়ে ভাঙতে চায় আটকে জেল।

ঐ আকাশে ভেসে বেড়া তুই একটি মুক্তির গান হবে 

শরীরে লাগুক মুক্ত বাতাস আনন্দ হয় খুব? আরে কাদিস নারে

আমি শুধু ভাবি তোদেরকে না রেখে আমরা মানুষ হবো কবে।

দয়া করে আমাদের মত যারা বন্দী আছে সকল প্রানীকে মুক্তি দিন।আমাদের আর খাঁচায় বন্দি কইরেন না।এই বন্দীশালা থেকে মুক্তি দিন।একটু পাখা ঝাপটে উড়তে দিন।

^^(দয়া করে কেউ পাখি পালবেন না)^^


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে