বৃষ্টির জল, তুষারগলা জল প্রভৃতি ভূপৃষ্ঠের ওপর দিয়ে নীচে চলে গিয়ে ভৌমজলস্তর রূপে অবস্থান করে, সেই জলপূর্ণ স্তরকে কী বলে?

পর্যায়কালীন স্তরের নীচে স্থায়ীভাবে জল সঞ্চিত থাকে, ঐ স্তরকে স্থায়ী সম্পৃক্ত স্তর বলে।

ভূপৃষ্ঠের উপর দিয়ে জল বয়ে গিয়ে কোনো খাতে পড়লে, জলের এই প্রবাহকে জলনিকাশ (Run off) বলে।

মাটির নীচে যে স্তরে জল সারাবছর বরফ অবস্থায় থাকে সেই স্তরকে চিরহিমন বা পার্মাফ্রস্ট বলে।

ভূপৃষ্ঠের অল্প নীচে ভ্ৰাম্যমান অ্যালুমিনিয়াম,লোহা, সিলিকা ও চুনের স্থানীয় কেন্দ্রীভবনের ফলে উৎপন্ন এক কঠিন ত্বক হল ডিউরিক্রাস্ট/আবহবিকার ত্বক/কুইরাস।

ভূপৃষ্ঠের উঁচু-নীচু জায়গাগুলি বহিজাত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ধীরে ধীরে ক্ষয়ে গিয়ে নীচু হয়ে যায়, এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় অবরোহণ।

শীতল জলবায়ুতে তুষারগলা জল দ্বারা সৃষ্ট কার্স্ট ভূমিরূপ নেভেলকার্স্ট নামে পরিচিত।

মৃত্তিকা বা শিলাস্তরের রগুলি যখন জলপূর্ণ অবস্থায় থাকে তাকে সম্পৃক্ত স্তর বলে।

অসম্পৃক্ত স্তরের নীচে যে স্তরে শুধুমাত্র বর্ষাকালেই জল ভৌমজল রূপে সঞ্চিত থাকে কিন্তু অন্য সময় জল শুকিয়ে যায়, একে সবিরাম বা সাময়িক সম্পৃক্ত স্তর বলে।

সবিরাম সম্পৃক্ত স্তরের নীচের স্তরটি সবসময় জলপূর্ণ অবস্থায় থাকে, একে স্থায়ী সম্পৃক্ত স্তর বলে।

মরু অঞ্চলে হঠাৎ বৃষ্টিপাতের ফলে যে নদী উপত্যকা গঠিত হয় আবার অন্য সময়ে শুষ্ক উপত্যকা রূপে অবস্থান করে, তাকে ওয়াদি বলে।